আর মাত্র কয়েক দিন বাকী। তারপরই পবিত্র ঈদুল আজহা। এসময় বিশেষ করে গরু, মহিষ, ছাগল ভেড়ার বেশ চাহিদা থাকে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ভিন্ন চিত্র হলে থেমে নেই গরু খামারীরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন খামারে প্রাকৃতিক ভাবে কোরবানির পশু মোটা তাজা করণের কাজে ব্যস্ত রয়েছে খামরীরা। করোনার প্রভাবে সাধারণ মানুষ কোরবানির পশুর পালনের সংখ্যা কিছুটা কমেছে বাস্তবে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত প্রায় লক্ষাধিক গবাধি পশু। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার খামারী দিন রাত প্রাকৃতিক উপায়ে পশু হৃষ্টপুষ্ট করণে কাজ করছে। প্রতিটি খামারে ছোট, মাঝারি ও বড় সবধরণের কোরবানির পশু রয়েছে। খামারে থাকা পশু দিয়েই মিটবে জেলার ৯৫ ভাগ চাহিদা এমনটা মনে করছেন অনেকে। চলতি পরিস্থিতিতে কোরবানির পশু ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিয়ে খামারীদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, খামারীদের লাভের কথা মাথায় রেখে অনলাইনে কেনাবেচার পাশাপাশি কম খরচে পশু মোটা তাজাকরণের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। খামার মালিক হোসাইন মিয়া ও তসলিম উদ্দিনের বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে অনেক খামারের আকার ছোট করা হয়েছে। তাছাড়া পশুখাদ্যের দাম বিগত বছর থেকে এবার বেড়েছে। এতে করে খামারের খরচ বেড়েছে। আমরা লাভের আশায় দিন-রাত কাজ করলেও গত ২/৩ বছর তুলনায় এবার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবার আশঙ্কা করছি। তবে এবার প্রতিবেশী দেশ থেকে গরু না এলে আমাদের কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছি।
শহরের পৈরতলার খামারী মোঃ জামাল মিয়া বলেন, আমার খামারে ৩০টি গরু রয়েছে। যুবরাজ বলে গরুর দাম হাকাচ্ছেন ৭ লাখ টাকা। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে ছোলা, বুট, ডালসহ ভালো ভালো খাবার খাইয়ে পালন করেছি এখন সঠিক দাম পাব কি না তা নিয়ে চিন্তিত।
প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা এবিএম সাইফুজ্জামান বলেন, জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামারীদের ব্যয় কমানোর জন্য জেলার ৯ টি উপজেলার প্রত্যেকটিতে ৫০ জন করে ৪৫০ জন খামারীকে কম খরচে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। কোরবানির পশু বিপননের জন্য এসব প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত খামারীদের নিয়ে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফেসবুক গ্রুপ তৈরী করা হয়েছে। যার মাধ্যমে অনলাইলে গবাধি পশু কেনা বেচা হবে।