জোফরা আর্চারের এক গোলার আঘাতে লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে পারেননি স্টিভ স্মিথ। প্রথম ইনিংসে ব্যথা পাওয়া স্মিথ ৪০ মিনিট পরে আবার ক্রিজে ফেরেন। ৮০ রানে উঠে যাওয়া স্মিথ ৯২ রানে আউট হন। লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তার বদলি (কনকাশন) হিসেবে মার্নাস লাবুশানে ব্যাট করেন। অ্যাসেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে স্মিথ খেলতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার নিশ্চিত করা হয়েছে, হেডিংলি টেস্টে তিনি থাকছেন না।
লর্ডসে আর্চারের বাউন্স এসে স্মিথের কানের নিচে এসে লাগে। পুরোপুরি সুস্থ তিনি হননি। তবে মঙ্গলবার দলের অনুশীলনে আসেন স্মিথ। বিশ মিনিট নেটে অনুশীলন করেন। এরপর কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সঙ্গে আলাদা কথা বলেন প্রথম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করা এই অজি ব্যাটসম্যান। সেখানে তাদের আলোচনায় যোগ দেন দলের চিকিৎসক রিচার্ড শ’। স্মিথের না খেলানোর ব্যাপারে এরপর সিদ্ধান্ত নেন তারা।
আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোন ক্রিকেটারের ঘাড়ে বা মাথায় আঘাত লাগলে তার বদলি হিসেবে সদৃশ ক্রিকেটার নেওয়া যাবে। ব্যাটসম্যান হলে ব্যাটসম্যান। বোলার হলে বোলার নিতে পারবে দল। লর্ডসে (কনকাশন) নিয়স অনুযায়ী, মার্নাস লাবুশানে ব্যাট করতে নামেন। ফিফটি করে দলকে হারের চোখ রাঙানি থেকে বাঁচান। লির্ডসে তৃতীয় টেস্টে স্মিথের বদলি হিসেবে লাবুশানেই খেলবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার বল টেম্পারিং কাণ্ডের জন্য অধিনায়ক স্মিথ নিষিদ্ধ হন। ওই সিরিজে নিষিদ্ধ হন ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরুন ব্যানক্রফট। ওই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অ্যাসেজ দিয়ে টেস্ট দলে ফিরেছেন স্মিথ-ওয়ার্নাররা। অজি ওপেনার ওয়ার্নার এখনও টেস্টে ফর্ম দেখাতে পারেননি। তবে দুই টেস্টের তিন ইনিংসে স্মিথ সিরিজে সর্বোচ্চ ৩৭৮ রান করেছেন। তাকে না পাওয়া তাই অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় ক্ষতি।