ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। এরপর তাদের ঘরে আসে সন্তান। আর সেই সন্তান প্রতিবন্ধী হওয়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকেরা খুন করলেন এক তরুণীকে। ঘটনা ভারতের পশ্চিম বঙ্গের (বর্তমানে বাংলা) মুর্শিদাবাদ জেলার।
বিয়ের বছর দেড়েক পরে ওই তরুণী পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু জন্ম থেকেই শিশুটি প্রতিবন্ধী। সেই কারণেই পায়েলকেই দোষারোপ করা হত। গত মঙ্গলবার রাতে সেই পায়েলেরই নিথর দেহ মিলে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে।
পায়েলের বাবা ত্রিদিব মিস্ত্রি কান্দি থানায় পায়েলের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার পায়েলের স্বামী তপন কোনাই, শ্বশুর লোহারাম কোনাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পায়েলের বাবার অভিযোগ, ‘যৌতুকের জন্য ওরা প্রায়ই মেয়েটাকে অত্যাচার করত। নাতিটা প্রতিবন্ধী হওয়ায় মেয়ের উপরে অত্যাচার আরও বাড়ে। মঙ্গলবার রাতে জামাই ও তার বাড়ির লোকজন মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।’
স্থানীয় পুলিশও একই কথা বলেছে। পুলিশ জানায়, মামলার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই শ্বশুর ও স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পায়েলের বাবা ত্রিবিদ কোনাই বলেন, ‘আমার তিন মেয়ের মধ্যে পায়েল বড়। তখন ও আমাদের কারও কথা শুনল না। বাড়ি থেকে চলে গিয়ে তপনকেই বিয়ে করল। তবে বিয়ের পরে মেয়ের উপর আর রাগ করে থাকতে পারিনি। ওদের সম্পর্কটা মেনেই নিয়েছিলাম। আমার আর্থিক অবস্থাও ভাল নয়। নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। তাই ওদের চাহিদা মতো পণও দিতে পারিনি। কিন্তু সেই কারণে মেয়েটাকে যে ওরা মেরেই ফেলবে, স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি ওদের কঠোর শাস্তি চাই।’