মিয়ানমারের যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দারিদ্র্যক্লিষ্ট দুটি এলাকা থেকে হাজারো নারী পাচার হচ্ছে চীনে৷ সেখানে নিয়ে তাঁদের চড়া দামে বিক্রি করা হয়৷ পরে জোর করে বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিতে বাধ্য করা হয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত গবেষণায় এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷ খবর জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের।
চীনে অবস্থানরত এবং চীন থেকে মিয়ানমারে ফেরা নারীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে গবেষণাটি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেল্থ৷ গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কাচিন ও শান থেকে অন্তত সাড়ে সাত হাজার নারী চীনে পাচার হয়েছে৷ পাচারের সঙ্গে স্থানীয় কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি, এমনকি নারীদের পরিবারের কোনো সদস্যও জড়িত থাকেন৷ অনেক ক্ষেত্রে নারীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধেই দেশত্যাগে বাধ্য হন৷ তবে অনেক ক্ষেত্রে যে দারিদ্র্যও তাঁদের বাধ্য করে সে বিষয়টিও উঠে এসেছে গবেষণায়৷
চীনে দীর্ঘদিন ‘এক সন্তান নীতি’ চালু থাকায় নারী আর পুরুষের সংখ্যায় খুব বড় রকমের পার্থক্য দেখা দিয়েছে৷ এক হিসেব বলছে, এ মুহূর্তে দেশটিতে পুরুষের চেয়ে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ নারী কম রয়েছে৷ এর ফলে অনেক পুরুষই অবিবাহিত থেকে যাচ্ছেন৷