তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নারীনির্যাতন-ধর্ষণের সঙ্গে যারাই যুক্ত থাকুক, যে পরিচয়ই ব্যবহার করুক না কেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ ধরণের অপকর্মের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা দুষ্কৃতিকারী। তাদের কোনো অন্য পরিচয় থাকতে পারে না। ইতিপূর্বে এ ধরণের ঘটনায় অনেক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তানিয়া সুলতানা হ্যাপি রচিত ‘আমি হব আগামীদিনের শেখ হাসিনা’ নামের শিশুতোষ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে তথ্যসচিব কামরুন নাহার বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং গ্রন্থরচয়িতা তানিয়া সুলতানা বইটির পরিচিতিমূলক বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহানা জেসমিন, লেখক জাহাঙ্গীর আলম শোভন, সংস্কৃতিকর্মী দিপু সিদ্দিকী, নাদিবা পারভীন লাকী প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরণের ঘটনা আগেও ঘটত। কিন্তু তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এমন ব্যাপকতা না থাকায় অনেক ঘটনাই আড়ালে থেকেছে। এখন বেশিরভাগ ঘটনা আড়ালে থাকে না, প্রায় সব ঘটনাই প্রকাশ্যে আসে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা নারীনির্যাতন-ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার, এই বিষয়গুলো যারা তুলে ধরছেন। তাদেরকে ধন্যবাদ। এতে করে যারা অপকর্ম ঘটাচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজতর হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরণের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার কোনো অবকাশ নেই। কিন্তু এগুলোকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই বিএনপির পক্ষ থেকে অপচেষ্টা চালানো হয়। এই বিএনপিই দলীয়ভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশে নারী ধর্ষণ করেছে। ২০০১ সালের পর ৮ বছরের শিশুকে, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে- এমনকি নৌকায় ভোট দেওয়ায় পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে সেখানকার নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো অনেকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। সুতরাং যারা দলীয়ভাবে এ ধরনের অপকর্ম করেছে এবং এর বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই, তাদের এ নিয়ে কথা বলার কতটুকু নৈতিক অধিকার আছে- সেটিই বড় প্রশ্ন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেছেন, মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। অথচ তারা সকালে একবার, দুপুরে একবার, আবার বিকেলে আরও একবার সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। মির্জা ফখরুল সাহেব বললে তার সঙ্গে প্রতিযোগিতা দিয়ে রিজভী সাহেব বা আরো দু-একজন নেতা সকাল-বিকাল-দুপর বিষোদগার করে আর বলে, তাদের কথা বলার অধিকার নেই, যা হাস্যকর।’
এ সময় ‘আমি হবো আগামীদিনের শেখ হাসিনা’ শিশুতোষ গ্রন্থরচয়িতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শিশুরাই আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ এবং আজ প্রধানমন্ত্রী শিশু দিবসের উদ্বোধন করেছেন, এমন দিনে এ গ্রন্থের যাত্রা শুরু তাৎপর্যপূর্ণ।’
তথ্যসচিব কামরুন নাহার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও নারী ক্ষমতায়নে পৃথিবীর সামনে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তার জীবন ও কর্ম আমাদের শিশু-কিশোরসহ সকলের জন্য অনুসরণীয়।’