নিউ ইয়র্কে গত ৪৮ ঘণ্টায় গুলিতে ও গাড়িচাপায় দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে নিউইয়র্ক সিটির পার্শ্ববর্তী লং আইল্যান্ডে বাংলাদেশি আমানউল্ল্যাহ আমানকে (৬৪) এক মাতাল গাড়িচালক তার গাড়ির নিচে চাপা দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে কুইন্সের ওজনপার্কে একটি নাইট ক্লাবের সামনে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন মোহাম্মদ শাহেদ উদ্দিন (২৭)।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লেবার ডে উইকএন্ডের সকালে আমান ২৮৯২ ওসান এভিনিউয়ে নিজের বাড়ি থেকে ময়লার ব্যাগ ফেলার জন্য যাচ্ছিলেন। এসময় মাত্রই তাকে গাড়িচাপা দেন গাড়িচালক এরিক লিন্ডারম্যান (৩৩)। তাকে নিকটবর্তী স্টোনিব্রুক হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘাতক এরিককে আটক করেছে।
তিন যুগের বেশী সময় নিউইয়র্কে বসবাসকারী আমানউল্ল্যাহ আমান বিভিন্ন রিটেল চেইন স্টোরে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন শেষে সম্প্রতি অবসর জীবনযাপন করছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে, আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরহুমের জানাজা জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে এবং লং আইল্যন্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালের মুসলিম কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
অন্যদিকে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত শাহেদ ওজন পার্ক এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা বাবর উদ্দিনের ছেলে। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের সন্দ্বীপে। বাবর উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতা।
সোমবার ভোরে রিচমন্ড হিল এলাকার একটি নাইট ক্লাব থেকে বের হন বাংলাদেশি যুবক শাহেদ ও বব। এ সময় অপর এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক কাছাকাছি ১৩০ স্ট্রিট এবং ৯২ এভিনিউয়ে এসে পৌঁছান।
সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা গাড়ির ভেতর থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে তারা গুরুতর আহত হন। তাদের তিনজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে শাহেদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
হামলার কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে পুলিশ হত্যাকারীকে ধরতে তদন্তে নেমেছে।
দু’টি ঘটনায় নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।