লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অতিরিক্ত গরমে ১৪-১৫ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেছে।
বুধবার (৫ জুন) বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের জনকল্যাণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে ভর্তির পর তাদের অধিকাংশই এখান থেকে শহরের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়েছেন। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীনরা হলো- নুহা (১৫), ইভা (১৫), সিমা (১৪) ফারিয়া সুলতানা (১৪), নুসরাত জাহান (১৫), মোহসেনা বেগম (১৪), ঝর্না আক্তার (১৫), রিয়া আক্তার (১৫), সানজিদা আক্তার (১৫)।
রায়পুর পৌর শহরের মা মনি স্পেশালাইজড হাসপাতালে (প্রা:) ভর্তি করা হয়েছে সানজিদা আক্তার ও নুহা (১৫)। তাদেরকে অক্সিজেন, স্যালাইন ও শরীরে বরফ দিয়ে গরমের তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে। এখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক (ডিউটি ডাক্তার) নজরুল ইসলাম জানান তারা উভয়ে আশংকামুক্ত। ধীরে ধীরে শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আনা হয় নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রিয়া আক্তার (১৫)। রিয়া জানায়- তীব্র গরমে মধ্যহ্ন বিরতির পর থেকেই তার শ্বাসকষ্টসহ শরীরে অসুস্থতাবোধ হতে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে অনেকেই অসুস্থ হতে থাকলে তাদেরকে ছুটি দেওয়া হয়। স্কুল ছুটির পর বাড়ি যাওয়ার পথে রিয়া রিকশাতেই লুটিয়ে পরলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক পীযুষ কান্তি দাস বলেন, ‘অতিরিক্ত গরমে শরীরে পানিশূণ্যতার কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে বলে আমাদের ধারণা। তাদের চিকিৎসা চলছে। সবাই আশংকামুক্ত।’
জনকল্যাণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম বলেন, ‘মধ্যহ্ন বিরতির পর ক্লাস শুরু হলে কয়েকজন ছাত্রী অতিরিক্ত গরমে অসুস্থবোধ করে। ওই সময় আমরা তাদেরকে পানি ও সেলাইন খাইয়ে দিলে তারা কিছুটা সুস্থবোধ করলে বাড়িতে পৌঁছে দেই। এরপর আরো ৩-৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এভাবে দেখাদেখি আতঙ্কে ৯ জনের অবস্থা খারাপ দেখা যাওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। নতুন করে কেউ অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।