এ বছর সরকার প্রস্তাবিত বাজটে রাজস্ব আহরণের উপর রাজস্ব আদায়, বাজেট ঘাটতি কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন আমদানি শুল্ক ও উৎসে কর কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। প্রায় ৩০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে, যার ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজে আসবে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি আশরাফ আহমেদ।
ডিসিসিআই আয়োজিত এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বিগত বছরের চাইতে ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণের হার ১১.৮২ শতাংশ কম নির্ধারণ করা হয়েছে, তারপরও এটি অনেক বেশি, যা বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে। ২০২৪-২৫, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কর ব্যবস্থা চালুকরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার। তিনি এসএমই খাতের জন্য পৃথক ট্যাক্স কোড প্রবর্তনের জন্য আহ্বান জানান এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় কর প্রদানের প্রক্রিয়া সহজীকরণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এবছর বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ৪.৬শতাংশ , যা বিগত বছরের চাইতে কম, তবে প্রবৃদ্ধি অর্জনে তা বাধাগ্রস্থ হবে না। এজন্য করজাল বৃদ্ধির উপর জোরারোপ করে বলেন, আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত ১০শতাংশের কম, এটাকে আগামী ১০ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৩০শতাংশে উন্নীত করতে হবে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকার এই বাজেটে বেশকিছু জায়গায় কর ও মূসক কমিয়েছে আবার কিছু কিছু পণ্যের উপর কর হার বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে তা ব্যবসা-বাণিজ্যকে মারাত্নকভাবে প্রভাবিত করবে না। বাজেটের ভালো উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়ন করাাই এ বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর শর্তসাপেক্ষে ২.৫শতাংশ কর্পোরেট কর কমানোর উদ্যোগ কে তিনি স্বাগত জানান। টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য তিনি এডিপি বাস্তবায়নের উপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেন।