ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহজুড়ে অভিযান সম্প্রসারণ করেছে। ইসরায়েলি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ও ড্রোনগুলো রাফাহ’র আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
ইসরায়েলি ট্যাংকবাহিনী পূর্ব ও পশ্চিম রাফাহকে বিভক্তকারী প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে কার্যত পূর্বাঞ্চলীয় রাফাহকে ঘিরে ফেলেছে বলে রয়টার্সেও বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে।
নগরীর পূর্ব ও উত্তরপূবাঞ্চলে অবিরত বিস্ফোরণ ও গুলি বিনিময় হচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে।
শুক্রবার ভোরে গাজা উপত্যকায় এএফপি’র সাংবাদিকরা মিশরের সাথে ভূখন্ডের দক্ষিণ সীমান্তে রাফাতে আর্টিলারি হামলা প্রত্যক্ষ করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা উত্তরে গাজা নগরীতে আরও বিমান হামলা ও লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন।
সোমবার বিকেল থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংক ও সাঁজোয়া গাড়ির বহর নিয়ে রাফাহ’র পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় অভিযান শুরু করে। অভিযান শুরু করার আগে যেখানকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলো ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
তবে ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তারা রাফাহ শহরে হামাসের বিরুদ্ধে “লক্ষ্যনির্ভর অভিযান” চালাচ্ছে। যাই হোক, ইসরায়েলি সরকার এই পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন প্রত্যাখ্যান করতে অস্বীকার করেছে। যার ফলে জো বাইডেন সতর্ক করে দিয়েছেন যে তিনি এটি করার জন্য ইসরায়েলকে কোনও যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করবেন না।
ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো কাছাকাছি চলে আসার কারণে ক্রমাগত বোমাবর্ষণের মাঝেও সোমবার থেকে ১১০,০০০ এরও বেশি মানুষ রাফাহ থেকে পালিয়ে গেছে, জাতিসংঘ জানিয়েছে।
জাতিসংঘ আরও সতর্ক করেছে যে শহরটিতে আশ্রয় নেয়া মানুষের সংখ্যা দশ লাখেরও বেশি। কিন্তু তাদের খাদ্য ও জ্বালানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। কারণ এই শহরটি তার কাছাকাছি সংযোগস্থলগুলো থেকে কোনও সহায়তা পাচ্ছে না।
মিশরীয় গোয়েন্দা-সংশ্লিষ্ট ‘আল-কাহেরা নিউজ’ জানায়, গাজা যুদ্ধবিরতির শর্তে পরোক্ষ আলোচনার মিশরীয় আয়োজকরা ‘দুই দিনের রাউন্ড’ হিসেবে বর্ণনা করার পর ইসরায়েলি ও হামাসের আলোচনাকারী দলগুলো বৃহস্পতিবার কায়রো ছেড়েছে।
গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রক ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটানো হামাস বলেছে, তাদের প্রতিনিধিদল ফিলিস্তিনি হামাস গোষ্ঠীর রাজনৈতিক নেতৃত্বের আবাসস্থল কাতারে চলে গেছে। তারা জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীদের উন্থাপিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
একই সময়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় প্রস্তাবটিকে ‘ইসরায়েলের মূল দাবি থেকে অনেক দূরে’ বলে উল্লেখ করে। তবে সরকার এখনও কায়রোতে আলোচকদের পাঠাবে বলে জানিয়েছে।