মুসলিমদের বৃহত্তম দু’টি উৎসবের একটি ঈদুল আজহা আজ উদযাপিত হবে। তবে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার নিম্ন এলাকায় বন্যায় আক্রান্তদের মাঝে নেই ঈদের আনন্দ। দফায় দফায় বন্যায় মানুষের বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় পশু কোরবানি দিতে পারছে না।
গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টি ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত চলমান থাকায় সিলেটের নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে ঈদের খুশির সঙ্গে সিলেটবাসীর দুয়ারে কড়া নাড়ছে বন্যার আতঙ্ক।
শুক্রবার দিনে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হলেও সন্ধ্যার পর থেকে আবারো শুরু হয়। টানা বৃষ্টির কারণে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট ও সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সূত্র বলছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬২ মিলিমিটার এবং শনিবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪৫ মিলিমিটার। রোববার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা প্রর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ৬০ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আরও পাঁচদিন সিলেট অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
অপরদিকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তথ্যমতে, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৫১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে সিলেটের সবকটি নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয় সূত্র বলছে, বর্ষাকালে সুরমা নদীর কানাইঘাট এলাকার ডেঞ্জার লেভেল ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। শুক্রবার এ পয়েন্টে পানি ছিলো ১১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। শনিবার দুপুর ৩টায় এ পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে সিলেটে সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঈদে সবাইকে বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়ে রাখাতে বলা হয়েছে।