সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বুধবার সচিবালয়ে কলকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা রোধ এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে জাতীয় কমিটির বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন কমিটির সভাপতি সালমান এফ রহমান।
সাবেক সেনাপ্রধান এবং সাবেক পুলিশ প্রধানের অনিয়মের এমন অভিযোগে সরকার বিব্রত কি না?– এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্পষ্টভাবে বলেছেন, কেউ যদি আইন ভঙ্গ করেন, তাহলে অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, সরকার কোনো রকম প্রটেকশন কাউকে দেবে না। আইন নিজের গতিতে চলবে।
ভারতে বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য খুন হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্তাধীন আছে। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে মন্তব্য করা উচিত হবে না।
বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে কমিটির সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, এখন থেকে নতুন কারখানাগুলো ও বাণিজ্যিক ভবনের নকশা ও পরিকল্পনার যে অনুমোদন দেওয়া হবে, বিশেষ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বাইরে যেগুলো আছে, সেগুলোর অনুমোদন দেয় জেলপ্রশাসকদের (ডিসি) অধীনের কমিটি। সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পেশাদার সংগঠন যেগুলো, যেমন ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচার, ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারর্স এসব সংগঠন অথরাইজড করে একটা তালিকা দেবে। যেমন স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, প্লাম্বিং, এমইপি, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল।
তালিকায় যাদের নাম আছে, ভবনের নকশায় তাদের সই আছে কিনা; সেটা দেখবে কমিটি। অনেক সময় স্বাক্ষর নকল হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রথম তালিকাভুক্তদের স্বাক্ষরে নকশা জমা দেওয়া হয়েছে কি না, সেটি দেখবে। আর পেশাগত সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে স্বাক্ষর সঠিক কি না; তার সত্যতা যাচাই করবে।
এরইমধ্যে তিন পর্যায়ে সারা দেশের কলকারখানা পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রথম পাঁচ হাজারে ফল অনেক ভালো এসেছে। এতে যেসব সমস্যা পাওয়া গেছে তা ঠিক করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সে অনুসারে তাদের সময় দেওয়া হয়েছে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্ধেক শিল্পকারখানা তা বাস্তবায়ন করেছে। বাকিদের আরও সময় দেওয়া হয়েছে এবং সবার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অবশিষ্ট শিল্পকারখানা যেখানে শ্রমঘন এলাকার ১৬টি জেলা রয়েছে সেসব পরিদর্শন করা হবে।