লম্বা কান। বড় বড় শিং। মায়াবী চোখ। সাদা, কালো, বাদামি রং। কোনোটার গলায় উজ্জ্বল রঙের দামি বেল্ট। কাঁঠাল পাতা দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। মাঝে মধ্যে লাফিয়ে উঠছে। এমন সব আদুরে ছাগল উঠেছে মোহাম্মদপুরের ছাগলের হাটে।
শুক্রবার হাট ঘুরে দেখা গেছে হাজারো ছাগল। হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতা। দরকষাকষি চলছে। বাড়ছে বেচাকেনাও। টাউনহল মোড়ের সামনেই দেখা গেলো কয়েকজনের জটলা। জানা গেল একটি ছাগল বিক্রি হলো ২৮ হাজারে।
ক্রেতা সালামত উল্লাহ জানান, ছোট গরুর দামে বড় ছাগল বিক্রি হচ্ছে। সব জিনিসের দাম বাড়তি। স্বাভাবিকভাবে ছাগলের দামও বাড়তি হবে। সামর্থ্য অনুযায়ী এ ছাগলটি কিনলাম।
মোহাম্মদপুরের এই হাটে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাগলের মেলা বসেছে যেন। ব্ল্যাক বেঙ্গল, যমুনাপারি থেকে শুরু করে যত জাত উপজাতের ছাগল আছে সবই আছে এ বাজারে। শুধু ছাগল নয়, প্রচুর ভেড়াও আছে। বেপারীদের আলাদা আলাদা খুপরি আছে ছাগলের। এর বাইরে শখের বশে লালন-পালন করা গৃহস্থের ছাগলও প্রচুর। যদিও কোরবানির বাজারে ভেড়ার কদর কিছুটা কম।
ভিড়ের বাইরে কিছুটা নিরিবিলিতে বড় যমুনাপারি ছাগল নিয়ে বসে ছিলেন আবদুর রহমান। দুই তরুণ এসে পছন্দ করলেন ছাগলটি। দাম হাঁকলেন ৫০ হাজার। শেষ পর্যন্ত দাম উঠলো ২৫ হাজার পর্যন্ত। এ যাত্রায় বিক্রি হয়নি ছাগলটি। আবদুর রহমান জানান, আরও দুই দিন বাকি আছে কোরবানির। কম দামে বেচবো কেন! একটি ছাগল পালতে অনেক খরচ।
এক বিক্রেতা চার বছর লালনপালন করে ৮৫ কেজি ওজনের যমুনাপারি ছাগল নিয়ে এসেছেন হাটে। তিনি দাম হাঁকিয়েছেন ৭০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত দর উঠেছে ৪০ হাজার পর্যন্ত।
ছাগলের এমন দাম দেখে অনেকেই বলছেন, ‘ছাগল তো নয় যেনো গরু বিক্রি হচ্ছে।’