Related Articles
মালিকের গালাগালি শুনে চুরি করা কলা ফেরত দিয়ে গেল চোরেরা। একই সঙ্গে একটি চিরকুট লিখে ক্ষমা চেয়েছে তারা। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী বাউতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে বাউতলা গ্রামে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে গাছের ফলা-ফলাদি বেশি চুরি হচ্ছে। এ কারণে অনেকেই রাতে গাছের ফল পাহারা দিচ্ছেন। এর মধ্যে ওই গ্রামের আবু তাহের মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার এবং স্থানীয় সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি থেকে কলা ও পেঁপে চুরি হয়। কলা চুরির ঘটনায় আসমা আক্তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে চোরদের গালাগালি করেন। দুদিন আগে রাতের কোনো একসময় তার বাড়ির দরজায় চুরি হওয়া একটি পাকা কলার বড় কাঁদি রেখে যায়। একই সঙ্গে তারা একটি চিরকুট দিয়ে যায়।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা আপনার কলাগাছ থেকে কলা চুরি করেছি। তাই আপনারা আমাদের গালাগালি করেছেন। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই আমাদের পরিমাণ মতো কলা খেয়ে বাকিটা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদের মাফ করে দিয়েন। আর যদি গালাগালি করেন তা হলে বাকি কলা নিয়ে যাব।
ইউপি সদস্য জিতু মিয়া বলেন, মানুষ শখ করে বাড়ির আশপাশে ফলের গাছ লাগিয়ে থাকেন। এসব চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা দুঃখজনক।