ব্র্যাক ব্যাংকের ভৈরব শাখার একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এক গ্রাহকের ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা উধাও হয়ে গেছে। ৮ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে ১৬টা লেনদেনের মাধ্যমে এই টাকা উধাও হয়েছে।
মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদানকারী ২টি প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে ১৫টি নম্বরে এই টাকা উত্তোলন ও গ্রাহকের ডরমেন্ট অ্যাকাউন্টে ৫লাখ টাকা ট্রানজেকশন হয়েছে। এসবের কিছুই জানেন না গ্রাহক।
আজ ২৪ জানুয়ারি বুধবার ব্যাংকে গ্রাহক শাহিদা আক্তার লেনদেন করতে এসে দেখতে পান তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পরে ব্যাংক হিসাবের আর্থিক বিবরণী (ব্যাংক স্টেটমেন্ট) তুলে দেখেন তার অ্যাকাউন্টে ৪৩,৯০৩ টাকা রয়েছে। আরেকটি পুরোনো অ্যাকাউন্টে ৫ লক্ষ টাকা জমা রয়েছেন। যদিও পুরোনো অ্যাকাউন্টে উনি ২ বছর যাবত কোন প্রকার লেনদেন করেন না। বাকি ৩লাখ ৯০ হাজার টাকা বিকাশ রকেটের মাধ্যমে সরিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।
ভোক্তভোগি জানান আট বছর যাবত আমি এই ব্যাংকে টাকা লেনদেন করি। এমনটা হলে গ্রাহকরা ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতি আস্থা হারাবে। স্থিতি হিসেবে তার অ্যাকাউন্টে ৪৩,৯০৩ টাকা রয়েছে । এ ঘটনায় তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে জুবায়ের নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হোন।
ভুক্তভোগীর স্বামী মো. জহির মিয়া জানান, আমি ব্যবসার কাজে দৌড়ঝাঁপ করি বলে আমার স্ত্রীকে দিয়ে লেনদেন করায়। আমার স্ত্রীর পুরানো অ্যাকাউন্ট প্রায় দুই বছর যাবত বন্ধ। এই অ্যাকাউন্টে লেনদেন ছাড়া কীভাবে ৫ লক্ষ টাকা ঢুকে আমি এ বিষয়ে অবাক। এ ঘটনার সঙ্গে ব্যাংকের কোন এক কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। আমি এ বিষয়ে ভৈরব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে ভৈরব শাখা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. শরীফ আল মাহমুদ জানান, অভিযোগ জানার পর আমরা জেনেছি ও দেখে বুঝতে পেরেছি উনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হতে পারে। এক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বাকী টাকা বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে। গ্রাহক যেহেতু টাকা উত্তোলন করে নাই। আমার হেড অফিসে বিষয়টি অবগত করেছি। বিষয়টি তদন্তের পর মূল ঘটনার কারণ জানা যাবে।