১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সর্বশেষ
১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সর্বশেষ

চয়ন আলীর আকুতি একটি হুইল চেয়ারের

জন্মের পর থেকেই হাত-পা বাঁকা চয়ন আলীর (১৪)। সেই সঙ্গে কথাও বলতে পারে না। প্রতিবন্ধী এই শিশুটি হামাগুড়ি দিয়েও চলাফেরা করতে পারে না। চয়নের সারাদিন কাটে জোড়াতালি মারা হুইল চেয়ারে বসে। তাই একটি হুইল চেয়ারের আকুতি জানিয়েছেন চয়নের মা চম্পা বেগম।

 

জানা গেছে, প্রতিবন্ধী চয়নের বাবা ১০ বছর আগে ঢাকার মুন্সিগঞ্জে জীবন-জীবিকার জন্য গেলে সেখানে তিনি গাছের ডাল কাঁটতে গিয়ে প্রাণ হারান। দশ বছর ধরে চয়ন আলী (১৪) ও ছোটবোন মুক্তা খাতুন (১২) দু’জনই এখন এতিম। ১০ বছর ধরে দুই ভাই-বোন ও মা চম্পা বেগমসহ তার দাদা মির হোসেনের বাড়িতে থাকেন। দুই বছর আগে ফুলবাড়ী উপজেলা সমাজসেবা থেকে প্রতিবন্ধী চয়ন আলীকে একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেয়। বর্তমানে হুইল চেয়ারটি কয়েক জায়গায় ভাঙ্গা এবং একেবারেই জরাজীর্ণ। এমনিতে দাদা ও চাচা সব কিছুই বহন করছেন। আর কতই বা তারা করবেন। অনেক কিছুই দিয়েছেন বলে জানান চয়নের মা।

 

চয়নের মা চম্পা বেগম অসহায় প্রতিবন্ধী ছেলের জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে একটি নতুন হুইল চেয়ারের আকুতি জানান। সেই সাথে চয়নের মা চম্পা বেগম ছেলের হুইল চেয়ারের পাশাপাশি নিজের বিধবা ভাতার জন্যও উপজেলা প্রশাসনসহ সমাজসেবা অধিদফতরের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

 

প্রতিবন্ধী চয়ন আলীর জন্য একটি হুইল চেয়ার ও তার মায়ের জন্য বিধবা ভাতার বিষয়ে কথা হলে ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুণ-অর-রশিদ-হারুন শিগগির নতুন একটি হুইল চেয়ার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই সাথে তার মায়ের জন্য বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন চেয়ারম্যান।

Comments

Facebook
Twitter
Pinterest
Reddit
Skype
Email
LinkedIn

নিউজ আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০