২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
  • রাজধানী
  • ছুটি শেষে কর্মমুখী মানুষ ফিরছে ঢাকায়

ছুটি শেষে কর্মমুখী মানুষ ফিরছে ঢাকায়

ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটি শেষে শুরু হয়েছে রাজধানী ঢাকায় ফেরার চিরায়ত যুদ্ধ। ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) দক্ষিণাঞ্চল থেকে লঞ্চযোগে আসা মানুষের চাপ আগের দুদিনের চেয়ে বেড়েছে।

ঈদ ও বৈশাখের দীর্ঘ ৬ দিনের ছুটি শেষে সোমবার ছিলো প্রথম কর্মদিবস। সে হিসেবে রাজধানীতে ফিরে আসা মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সবকিছু মিলিয়ে রাজধানী এখনো অনেকটাই ফাঁকা ও যানজটমুক্ত বলা যায়।

সোমবার রাজধানীর সদরঘাট ঘুরে এবং বাংলাদেশ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে দেখা যায়, ৮টা পর্যন্ত সদরঘাটে ৭৮টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় এসেছে। ঘরে ফেরা মানুষের চাপ সামলাতে প্রায় সকল লঞ্চ যাত্রী রেখে ফের যাত্রী আনতে দ্রুত টার্মিনাল ত্যাগ করছে।

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত গিয়াস ছুটি শেষে ফিরেছেন ঢাকায়। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়ি বরিশালে গিয়েছিলাম। আজ (সোমবার) ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ থাকলেও তা খুব বেশি নয়। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে লঞ্চের যাত্রী কমেছে। তারপরও অতিরিক্ত চাপ থাকায় আমাদের সকাল সাড়ে ৫টায় টার্মিনালে রেখে লঞ্চটি পুনরায় বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।

একই অবস্থা রাজধানীর বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনগুলোতে।সরেজমিনে দেখা গেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেড়েছে ঢাকায় ফেরা যাত্রীর চাপ। স্টেশনে আসা ট্রেনগুলোতেও দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ভেতরতো বটেই, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে করেও ফিরেছেন অনেকে। অনেক যাত্রীকে দরজায় ঝুলতেও দেখা যায়।

তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসা আফজাল হোসেন বলেন, এবার অনেকদিনের ছুটি ছিল। আসার সময় অনেক ভিড় হবে চিন্তা করে ছোট দুই ছেলে মেয়েসহ স্ত্রীকে বাড়িতেই রেখে এসেছি। কয়েকদিন পর যাত্রীর চাপ কমলে ছোট ভাই তাদের ঢাকায় নিয়ে আসবে। আমার অফিস খোলা তাই আমি লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়েই কোনোরকম চলে এসেছি।

একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় ফেরা সৈয়দ আশরাফ বাতেন বলেন, বাড়িতে সবাই একসাথে ছিলাম। ঈদ আর বৈশাখ একসাথে উদযাপন করেছি। আজ থেকে অফিস খোলা। তাই কষ্ট হলেও বাড়ি ছেড়ে চলে আসতে হলো। বাচ্চাদের স্কুলও খুলে যাবে। তাই সবাইকে নিয়েই চলে এসেছি।

লঞ্চ ও ট্রেনের পাশাপাশি বাসে করেও ঢাকায় ফিরছেন অনেকে। বাসে ঢাকায় ফেরা যাত্রীরা বলছেন, পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারা সৌভাগ্যের বিষয়। যাওয়ার সময় কষ্ট হলেও ফিরতি যাত্রায় স্বস্তিতে তারা ঢাকায় পৌঁছেছেন। কোথাও কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। বিশেষ করে রাস্তা-ঘাট ফাঁকা থাকায় বাসযাত্রীরা নির্বিঘ্নে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকায় ফিরতে পেরেছেন।

এদিন সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে তুলনামূলক কম ভিড় দেখা গেছে। টার্মিনালের উল্টো পাশের সড়কে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাসগুলো যাত্রী নামাচ্ছেন। নওগাঁ থেকে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় কোনো যানজট নেই। তাই খুব কম সময়ে ঢাকায় চলে এসেছি। আজকে থেকে অফিস খোলা তাই তড়িঘড়ি করে ঢাকায় আসা। ছেলে-মেয়েকে বাড়ি রেখে এসেছি। তারা কয়দিন পর ঢাকায় আসবে।

Comments

Facebook
Twitter
Pinterest
Reddit
Skype
Email
LinkedIn

নিউজ আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১