১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
  • শীর্ষনিউজ
  • ছেলে ৩, মেয়ে ১ লাখে বিক্রি করে দম্পতি—মামলা টাকা ভাগের দ্বন্দ্বে

ছেলে ৩, মেয়ে ১ লাখে বিক্রি করে দম্পতি—মামলা টাকা ভাগের দ্বন্দ্বে

হাবিবুর রহমান ও মুন্নী আকতার স্বামী-স্ত্রী। মুন্নী আক্তার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় জানতে পারেন যমজ সন্তানের মা-বাবা হবেন তারা। এর পরই তারা অনাগত দুই সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জন্মের পরেই ছেলেশিশুকে তিন লাখ টাকায় ও মেয়েশিশুকে এক লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন।

এরপর সন্তান বিক্রির টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় স্ত্রী মুন্নী আক্তার সন্তান চুরির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন  (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

পিবিআইয়ের তদন্তে শিশু বিক্রির তথ্যটি উঠে এসেছে বলে রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।

তিনি বলেন, শনিবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার রাজানগর এলাকা ও বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশু দুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানা এলাকা থেকে শিশু রায়ান (৫ মাস ৫ দিন) এবং অপর ভিকটিম ফাহমিদকে (৫ মাস ৫ দিন) অক্সিজেন এলাকা হতে উদ্ধার করা হয়।

পিবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুন্নি আক্তার সন্তানসম্ভবা হন। একই সময়ে শিরু আক্তার ছেলেসন্তান দত্তক নেওয়ার খোঁজে ছিলেন।

আর রুনা আক্তার মেয়েসন্তান দত্তক নেওয়ার জন্য খুঁজছিলেন। উভয়ের সঙ্গে ঘটনাক্রমে রাশেদা বেগম নামের একজনের পরিচয় হয়। রাশেদা তাদেরকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিলে পছন্দমতো নবজাতক ছেলে-মেয়ে দত্তক এনে দিতে পারবেন বলে আশ্বাস দেন। পরে তিনি দুজনকে মুন্নী আক্তারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তখন মুন্নী ছেলেসন্তানকে তিন লাখ টাকায় এবং মেয়েসন্তানকে এক লাখ টাকায় দিতে রাজি হন।
মুন্নীর স্বামীও সন্তান দত্তক দিতে রাজি হন।

চুক্তি অনুযায়ী, মুন্নীর প্রসবকালীন চিকিৎসা বাবদ অর্থ প্রদান করেন সন্তান দত্তক নেওয়া ওই দুই নারী। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে রাদেশা পান এক লাখ টাকা।

ঘটনার বেশ কিছুদিন পরে মুন্নীর স্বামী তাকে মারধর করে দেড় লাখ টাকা নিয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুন্নী আক্তার মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। মামলায় হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বামী হাবিবুর রহমানসহ অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করা হয়েছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহেদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শিশুটির মা-বাবা স্ট্যাম্প করে শিশু দুটিকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। উদ্ধার করা যমজ দুই শিশুকে আজ রবিবার চট্টগ্রাম মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারক তাদের নিরাপদে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমরা শিশু দুটিকে চট্টগ্রামের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখেছি। আগামীকাল সোমবার  ট্রাইব্যুনালে দুই শিশুর উপস্থিতি মামলাটির শুনানি হবে।’

Comments

Facebook
Twitter
Pinterest
Reddit
Skype
Email
LinkedIn

নিউজ আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০