পিবিআইয়ের তদন্তে শিশু বিক্রির তথ্যটি উঠে এসেছে বলে রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।
পিবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুন্নি আক্তার সন্তানসম্ভবা হন। একই সময়ে শিরু আক্তার ছেলেসন্তান দত্তক নেওয়ার খোঁজে ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, মুন্নীর প্রসবকালীন চিকিৎসা বাবদ অর্থ প্রদান করেন সন্তান দত্তক নেওয়া ওই দুই নারী। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে রাদেশা পান এক লাখ টাকা।
ঘটনার বেশ কিছুদিন পরে মুন্নীর স্বামী তাকে মারধর করে দেড় লাখ টাকা নিয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুন্নী আক্তার মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। মামলায় হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বামী হাবিবুর রহমানসহ অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করা হয়েছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহেদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শিশুটির মা-বাবা স্ট্যাম্প করে শিশু দুটিকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। উদ্ধার করা যমজ দুই শিশুকে আজ রবিবার চট্টগ্রাম মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারক তাদের নিরাপদে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমরা শিশু দুটিকে চট্টগ্রামের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখেছি। আগামীকাল সোমবার ট্রাইব্যুনালে দুই শিশুর উপস্থিতি মামলাটির শুনানি হবে।’