বার্লিনের ফ্রেই ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের একটি দল গত ১৪ ডিসেম্বর ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করে একটি সমাবেশের আয়োজন করেছিল। জার্মানিতে নজিরবিহীন ওই সমাবেশ অনুষ্ঠানে কেউ কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়,তবে তা ভালোভাবে শেষ হয়নি।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে ছাত্রদের সমাবেশের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডেকে এনে আন্দোলনরত ২০ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করায়। পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উভয়েই অবশ্য বলেছে যে ছাত্রদের এই বিক্ষোভে ইহুদি বিরোধী বা বর্ণবাদী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এরপরও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বলেছে, শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ কর্মসূচিকে অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এমনকি আটক শিক্ষার্থীদেরকে জার্মান থেকে বহিষ্কারের জন্য ২৬ হাজার মানুষের স্বাক্ষরিত সম্বলিত একটি আবেদনপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
জার্মানির সরকার ও উগ্রবাদি ব্যক্তিরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শনকারীদের উপর হামলা করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের সমর্থনে যেকোনো সমাবেশ আয়োজনকারীদেরকে এবং সরকারের সমালোচনাকারী বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হয়রানি ও নির্যাতন করা কিংবা দেশ থেকে বের করে দেয়ার পক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জার্মানির বর্তমান সরকার নাৎসি যুগের বিরুদ্ধে হলেও তারা নাৎসিদের মতোই আচরণ করছে ভিন্ন উপায়ে ভিন্ন কৌশলে।
ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভকারীর হাতে একটি প্ল্যাকার্ড যাতে লেখা ছিল, একটি হলোকাস্ট আরেকটি গণহত্যাকে সমর্থন করা যায় না। জার্মান সরকার গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়কেও উপেক্ষা করেছে। বর্ণবাদী ইসরায়েলের জুলুম নির্যাতন ও আগ্রাসনকে চোখ বুজে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বার্লিন।