বিদ্যুৎ বিলের হিসাব মিলছে না অধিকাংশ গ্রাহকের। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিটি বিলে অতিরিক্ত টাকা যোগ করে দেওয়া হচ্ছে। বিলের কপিতে বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিপরীতে ভ্যাট, বিলম্ব মাশুল যোগ করেও চূড়ান্ত বিলের সঙ্গে গরমিল পাওয়া যাচ্ছে। এমন বিল নিয়ে বিপাকে গ্রাহকেরা। (আজকের পত্রিকা ২৭-০৫-২০২৪)
গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রত্যেকটি বিলেই অতিরিক্ত ৮০ থেকে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বেশি যোগ করা হচ্ছে। বিল নিয়ে অফিসে ঘোরার পরও কোনো সমাধান দিতে পারছেন না সমিতির লোকজন। পরবর্তী মাসে সমন্বয় করে দেয়ার আশ্বাস দিলেও তা শুধু কথাতেই সীমাবদ্ধ। পরের বার গেলে বরং অফিসের লোকজন দুর্ব্যবহার করেন। (সময় নিউজ ৩১-০৫-২০২৪)
এক গ্রাহক বলেন, মার্চের তুলনায় এপ্রিল ও মে মাসে বিদ্যুৎ বিল দুই থেকে দিন গুণ বেশি এসেছে । দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তার ওপর বিদ্যুৎ অফিসের ভূতুড়ে বিলের অত্যাচারে নাভিশ্বাস অবস্থা। আমার ঘরে দুটি লাইট জ্বলে। ২০০ টাকা বিল আসতো। কিন্তু গত দুই মাস ধরে ৮০০ টাকা বিল আসছে। (যুগান্তর ২৫-০৫-২০২৪)
বিদ্যুতের নতুন দাম অনুযায়ী আবাসিক গ্রাহকদের মধ্যে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের বিদ্যুতের মূল্য এখন প্রতি ইউনিট ৪.৬৩ টাকা। ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারী গ্রাহকের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ১৪.৬১ টাকা। বিদ্যুতের এ বাড়তি দাম সাধারণ মানুষকে ফেলেছে চরম বিপাকে। (সময়ের আলো ১৬-০৫-২০২৪)
পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে চাহিদার তুলনায় ব্যবহার বাড়ায় বিদ্যুৎবিল বেশি আসছে। কোনো ভূতুড়ে বিল হচ্ছে না। মিটার রিডাররা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মিটার দেখেই বিল করছে। গ্রাহকরা বেশি বেশি ব্যবহার করছে, তাই গতমাসের তুলনায় এ মাসে বিল একটু বেশি হচ্ছে। (বণিক বার্তা ২০-০৫-২০২৪)।