কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই দিনে বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের কামড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চুসহ ৩৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত শহরের পঞ্চবটী, ঘোড়াকান্দা, ভৈরবপুর, ফেরিঘাট ও চন্ডিবের এলাকার বাসিন্দাদের নির্বিচারে কামড়ায় কয়েকটি পাগলা কুকুর। ওই সময় স্থানীয়রা দুইটি পাগলা কুকুরকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত শহরের ওইসব এলাকার পথচারিদের আচমকা কামড়াতে থাকে কয়েকটি পাগলা কুকুর। কুকুরগুলোর নির্বিচার কামড়ে লোকজন আহত হতে থাকলে চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তখন লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে কুকুরগুলোকে তাড়া করলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ঢুকে নারী, পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের কামড়াতে থাকে।
এ বিষয়ে ভৈরব পৌরসভার মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি আমি অবগত হয়েছি কিন্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কুকুর মারার অধিকার পৌর কর্তৃপক্ষের নেই। তবে জনতা যদি পাগলা কুকুরগুলোকে মেরে ফেলে আমাদের কিছুই করার নেই। যারা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে তাদেরকে চিকিৎসা দিতে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারকে অনুরোধ করেছি। চিকিৎসায় কারো সহযোগীতা লাগলে তা আমি করে দিব বলে তিনি জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার বুলবুল আহম্মদ জানান, পাগলা কুকুরের কামড়ে সাধারনত প্রত্যেককে ভ্যাকসিন ও আইজি দিতে হয় ৫টি করে। আমার হাসপাতালে এত পরিমান ভ্যাকসিন ছিলনা। আর আইজি থাকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে। পরবর্তীতে তাদের চিকিৎসার জন্য আমি জরুরী ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করে আজ বুধবার আইজি ও ভ্যাকসিন হাসপাতালে আনার ব্যবস্থা করেছি।