১৯৭৫ থেকে ৯৫ সাল পর্যন্ত সময়কে ভারত বিরোধী ঈঙ্গিত করে বিএনপির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে ২১ বছর শত্রুতা করে আমাদের লাভ হয়নি।
বিএনপি শত্রুতা করে সংশয়, অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিল অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, সে কারণে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। আমরা সে অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। শেখ হাসিনা সে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার (১১ মে) মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক এই শান্তি সমাবেশে যোগ দেন।
ভারত আমাদের বন্ধু উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কারো দাসত্ব করি না। আমাদের শক্তির উৎস এদেশের মানুষ, জনগণ। ভারতের কাছে আমরা বন্ধুত্ব চাই। কারণ এটা আমাদের স্বার্থেই দরকার।
ভারতের সঙ্গে করা বিভিন্ন চুক্তির কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বলতে চাই, গঙ্গার পানি শেখ হাসিনাই এনেছেন। পানি চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা। সীমান্ত সমস্যার চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের মতো আরেকটি বাংলাদেশ আমরা সমুদ্র পেয়েছি আদালতের মাধ্যমে।
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনি কোথায় ছিলেন এতদিন? কোথা থেকে এলেন? কোথায় পালিয়ে ছিলেন? ভারতে? মাথায় উঠেছে গান্ধী টুপি।
গয়েশ্বর এখন ভণ্ডামি শুরু করেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি কালকে পল্টনে দাঁড়িয়ে আমাদের বলে ভারতের দালাল। এই অপবাদ তো আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া দিয়েছে। ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া, সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করল, আপনি ভারত সফর করলেন গঙ্গার পানির কি হলো? তিনি বললেন আমি তো ভুলে গেছি। দালাল কারা?
শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশের ৪২ শতাংশ ভোটার উল্লেখ করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচনে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। উপজেলা নির্বাচন জনগণ নাকি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাহলে ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ লোক ভোট দিল তারা কারা? তারা এই দেশের জনগণ। তারা উন্নয়নে, অর্জনে মুগ্ধ।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।