বৃহস্পতিবার জেলার বোদার ময়দান দীঘি ইউনিয়নের জেমজুট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে বোরকা পরা এক নারীকে জোর করে বসিয়ে দিচ্ছেন কয়েকজন নারী। এ সময় ওই নারীর সঙ্গে তর্ক করছিলেন অপর কয়েকজন নারী। এর মধ্যে এক ব্যক্তি ওই নারীর কোমরে দড়ি বাঁধছিলেন। চারদিকে অনেকে ভিড় করে আছেন। ভুক্তভোগী ওই নারী হাউমাউ করে কাঁদছিলেন।
ভুক্তভোগী ঐ নারী বলেন, আমি দুই তিনদিন আগে দাদীর বাড়িতে (বাবার খালার) বাড়িতে গিয়েছিলাম। দাদীকে বাড়িতে না পেয়ে এক রাত আমার বান্ধবীর বাড়িতে থাকি। পরের দিন দাদী বাড়িতে আসলে তার বাড়িতে যাই। সেখানে কল এসেছে বলে দাদী আমাকে মোবাইল ফোনটি কথা বলার জন্য দেন। কথা বলার পরে আমি দাদীকে না দেখে বাড়িতে চলে আসছিলাম। এরমধ্যে আমাকে গ্রামের লোকজন মারধর করে বাজারের মধ্যে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে।
ওই নারীর বাবা মা বলেন, আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি আমাদের মেয়ে মোবাইল ফোন চুরি করেছে। সে যদি মোবাইল ফোন চুরি করে তবে তা ফেরত দিব নাহলে নতুন ফোন কিনে দিব। কিন্তু তাকে বাজারের মধ্যে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে বাড়িতে এনে দেয়। তাদেরও তো মা-বোন আছে। আমরা কি বিচার চাইবো উল্টো আমার মেয়ের বিচার করে পাঠিয়ে দিয়েছেন চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ গ্রামের লোকজন।
এ বিষয়ে বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত না, কোন অভিযোগও করা হয়নি।