অনেকেই শীতকালে গোসল করতে ভয় পান। বিশেষ করে শীতের সকালে কিংবা রাতে গোসল করার কথা কেউ হয়তো ভাবতেও পারেন না। তবে শীতে ঘুম থেকে উঠতে কোনোভাবেই তড়িঘড়ি করা যাবে না। ধীরে ধীরে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে থাকুন কিছুক্ষণ।
এরপর স্বাভাবিক সব কাজের জন্য নিজেকে তৈরি করুন।যাদের ভোর কিংবা সকাল সকাল গোসল করার অভ্যাস রয়েছে শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিতে তাদের এ সময় গোসল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে একেবারেই উপায় না থাকলে হালকা গরম পানিতে গোসল করে নেওয়াই ভালো। শীতের আদর্শ সময় হিসেবে চিকিৎসকরা বলছেন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে গোসল করাটা ভালো।
এ সময়টাতে ভোর ও বিকেলের ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকে না। তাই শীতের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় এ সময়টাকেই গোসলের জন্য বেছে নেওয়া নিরাপদ।
এ ছাড়া শীতে আদর্শ সময়ে গোসল করার পাশাপাশি মেনে চলতে হবে কিছু নিয়মও। এগুলো হলো-
- শীতের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় পানি স্বাভাবিক তাপমাত্রা হারিয়ে বেশ শীতল থাকে।
তাই গোসলের সময় এ পানি গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে তারপর গোসল করুন।
- গোসল করার সময় সাবান ব্যবহারের পরিবর্তে ব্যবহার করুন শাওয়ার জেল।
- ত্বক যেন শুষ্ক না হয় তার জন্য গোসল করেই অলিভ ওয়েল তেল কিংবা বডি লোশন ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
- সর্দি, কাশি, গলা ও বাতের ব্যথায় সব সময় গোসলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।
- শীতের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় নিয়মিত গোসল করতে না পারলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে পুরো শরীর মুছে নিন।
- শীতে গোসলের আগে তেল মেখে রোদে বসলে খুবই উপকার মিলবে। ২০-৩০ মিনিট এভাবে থাকলে শরীর ভালো থাকবে।
তবে আলস্য আসুক কিংবা আতঙ্ক, নিয়মিত গোসল করার বিকল্প নেই, কারণ গোসল করলে শরীরে জমে থাকা জীবাণু দূর হয়ে যায়। ফলে নানা রোগের ঝুঁকি কমে।