হজযাত্রীদের সৌদি আরব পাঠাতে চলতি বছর চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিবাগত রাত ৪টা ৫ মিনিটে পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হন ৪১৩ জন বাংলাদেশি। সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তাঁরা।
এদিকে ভোর সাড়ে ৫টায় এই ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। পরে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান দ্বিতীয় ফ্লাইটে সৌদির উদ্দেশে রওনা হন আরও ৪১৭ জন হজযাত্রী। এরপর সকাল ৮টায় ফ্লাইনাস এয়ারের আরেকটি ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
এর আগে, গতকাল বুধবার (৮ মে) রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবারের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ হতে পারে। তবে ভিসা কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। এই কাজ শেষ করতে দ্বিতীয় দফায় আগামী ১১ মে পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এবার জেদ্দা ও মদিনায় পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় হজ অফিসে বিমান বোর্ডিং এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টারে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। ঢাকা হজ অফিসে বিমানের সেলস কাউন্টার এ ব্যালটি হাজিদের টিকিট ইস্যু এবং নন-ব্যালটি হাজিদের টিকিট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের সুবিধা রাখা হয়েছে।
আরও বলা হয়, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৬ হাজার ৫২৭ জন হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫০ শতাংশ হজযাত্রী পরিবহন করবে, যার সংখ্যা ৪৩ হাজার ৮৯৯ জন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রি-হজে মোট ১১৬টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে জেদ্দায় ৮২টি, চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় ১৭টি, সিলেট থেকে জেদ্দায় ৫টি, ঢাকা থেকে মদিনায় ৯টি, চট্টগ্রাম থেকে মদিনায় ২টি এবং সিলেট থেকে মদিনায় একটি।
এ ছাড়া হজ শেষে পোস্ট হজে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস মোট ১২৫টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে জেদ্দা থেকে ঢাকাতে ৭৩টি, জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে ১৫টি, জেদ্দা থেকে সিলেটে ২টি, এছাড়া মদিনা থেকে ঢাকা ২২টি, মদিনা থেকে চট্টগ্রামে ৯টি এবং মদিনা থেকে সিলেটে ৪টি।