সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বৃদ্ধা শাশুড়িকে বেঁধে নির্যাতন চালানোর ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ ওই বৃদ্ধার ছেলে ও তার স্ত্রীকে আটক করেছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বড়কুপট গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন শ্যামনগরের বড়কুপট গ্রামের মৃত তৈলক্ষ্য মণ্ডলের ছেলে প্রভাষ মণ্ডল ও প্রভাষ মণ্ডলের স্ত্রী আশা রানী।
স্থানীয়রা জানান, বড়কুপট গ্রামের মৃত তৈলক্ষ্য মণ্ডলের স্ত্রী ফুল মতি দাসীর বয়স আশি বছরের মতো। বয়সের ভারে তিনি বিছানাতেই পায়খানা-প্রসাব করেন। এজন্য প্রায়ই তাকে বেঁধে নির্যাতন করেন তার ছেলের স্ত্রী আশা রানী। একই সঙ্গে তাকে ঠিকমতো খাবারও দেওয়া হয় না। সম্প্রতি স্থানীয় এক যুবক নির্যাতনের ঘটনার ভিডিওসহ স্থানীয় পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘মা জনম দুঃখীনি মা, গর্ভধারিণী মা; যে মা ১০ মাস ১০দিন গর্ভে স্ব-যত্মে ধারণ করে রেখেছিলেন। সেই মা যদি এমন বউয়ের পাল্লায় পড়েন? কিন্তু সন্তানের চোখ কি অন্ধ ?’
বিষয়টি শ্যামনগর থানা পুলিশের নজরে এলে শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধাকে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে এবং ছেলে ও তার স্ত্রীকে আটক করে।
শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শংকর জানান, ওই বৃদ্ধার ছেলে-বউমাকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
তিনি আরও জানান, বৃদ্ধা ফুলমতি দাসী বর্তমানে তার বাড়িতেই ভাল আছেন। তার খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই বৃদ্ধা বয়সের ভারে বর্তমানে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় আছেন।