৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ

দাম বেড়েছে মুরগীর, কমেছে গরুর মাংসের

যতোই ঈদুল ফিতরের দিন এগিয়ে আসছে মুরগীর দাম লাগাম ছাড়া আর গরু ও খাসির মাংসের দাম কমেছে। ব্রয়লার ও সোনালী লেয়ারসহ দেশি মুরগীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, ঈদ উৎসবের সময় মুরগীর মাংসের চাহিদা বেড়ে যায় বলেই বেশি বাড়ে মুরগীর দাম। এই বাড়তি চাহিদাকে পুজিঁ করে মুরগীর দাম দফায় দফায় বাড়াচ্ছে বিক্রেতারা।

গত দুই দিনে গরু-খাসির মাংস দাম কমলেও মুরগীর দাম বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর আদাবর ও মোহম্মদপুর কৃষি কাঁচা বাজারসহ মহাখালী কাচাঁবাজার ঘুরে এমনটাই চিত্র দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় ভিন্ন চিত্র চোখে পড়েছে।

মহল্লার তরুণেরা নিজনিজ উদ্যোগে সাভার ও হেমায়েতপুরের খামারীদের নিকট থেকে গরু ক্রয় করে জবাই করে বিক্রি করছেন ৬৫০ টাকায়। কসাইয়ের দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায়, খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১১ শত টাকায়। এদিকে ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকায়, সোনালী ৩৫০ টাকা লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৭০ টাকা, দেশি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকা আর পাকিস্তানী মুরগী বিক্রি হচ্ছে দেশি বলে ৫০০-৫৫০ টাকায় ।

গত শুক্রবারে রাজধানীর বাজারে গরুর মাংস ছিলো ৭৫০-৭৮০ টাকায় আর খাসির মাংসের কেজি ১হাজার টাকা। মহাখালী কাচাঁবাজারের মুরগী ব্যবসায়ীদের দাবি ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা মুরগীর দাম বাড়িয়েছে। ব্রয়লারের দাম ছিলো ২৩০ টাকা, লেয়ার ও সোনালী মুরগীর দাম ছিলো ৩৩০ টাকা দেশি মুরগী ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি করেছি।  গত দুইদিন ধরে আমাদের বেশি দামে ক্রয় তেমনি বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ।

মহাখালীকাচাঁ বাজারের ক্রেতা আয়শা বেগম জানালেন, সারা রোজার মাস গরুর মাংস ৮০০ ও খাসির মাংস ১১০০ টাকার নিচে পাওয়া যায়নি। আজ বাজার করতে এসে স্বস্তি মুরগী ছাড়া সব কিছুর দাম কিছুটা কমই মনে হচ্ছে বলে তিনি জানান। ঈদের আগে মুরগীর মাংসের দাম আবার বাড়ল। বাজার করতে গেলে তাল পাওয়া যায় না।

এদিকে কারওয়ান বাজারের বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার মুঠোফোনে জানিয়েছেন, কর্পোরেট গ্রুপগুলোর কৃত্রিম সংকটে মুরগির বাচ্চা কিনতে না পেরে উৎপাদন থেকে বাধ্য হয়ে সরে যাচ্ছে প্রান্তিক খামারিরা। যার জন্যে বাজারে মুরগির দাম  বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, একটি মুরগী ডিমফুটা বাচ্চাঁর পিছনে খরচ ২৮-৩০ টাকা।  কিন্ত প্রান্তিক খামারিদের সেই মুরগীর বাচ্চাঁ ক্রয় করতে হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। ব্রয়লারে খরচ হচ্ছে ৫০-৫৫টাকা। প্রান্তিক চাষীদের পড়ছে ৭০-৮০ ফিড কিনতে লাগছে। পূর্ণঙ্গ ব্রয়লার হতে ১৮০-১৯০ টাকা খরচ পড়ছে। একারণেই মুরগীর দাম বেড়েছে বললেন, সুমন হাওলাদার।

Comments

Facebook
Twitter
Pinterest
Reddit
Skype
Email
LinkedIn

নিউজ আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০