২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ

মরণ ফাঁদ এখন বাঁশের সাঁকোটি!

কপোতাক্ষে নদের ওপর তালা উপজেলার ঘোষনগর খেয়াঘাটের বাঁশের সাঁকোটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সাঁকো পারাপারে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা য়ায়, তালা উপজেলার জালালপুর ও পাইকগাছাসহ বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ জনপদের শত শত মানুষের নদী পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকোর ওপর দিয়ে পার হতে হয়। সাঁকোর খন্ড খন্ড চরাটগুলির কোনটাই এখন আর নিরাপদ নয়। বাঁধন না থাকায় তার উপর পা দিলেই রয়েছে গড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি। নেই ন্যূনতম কোন গার্ডার। এতে করে চলতি শীত মৌসুমে সন্ধ্যা নামতেই কুয়াশার প্রলেপ সাঁকোর পাটাতনগুলিকে পিচ্ছিল করে দেয়। এমন অবস্থায় সাঁকো দিয়ে মানুষ পারাপারে কোন রকম অসাবধানতায় পা সরে মালামালসহ পড়তে হয় পানিতে। এতে কোন রকম প্রাণে বেঁচে গেলেও শীতে ভেজা কাপড় ও সাথে থাকা মালামালসহ মূল্যবান জিনিষপত্র নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

ভুক্তভোগীরা জানান, ঘোষনগর খেঁয়াঘাটে বরাবরই যাত্রী পারাপারে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হয়। এনিয়ে ঘাঁট মালিক-যাত্রীদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। তবে টোল বেশি নিলেও সেখানে সেবার মান ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় সাঁকোটি। এত কিছুর পরও হুশ হচ্ছেনা সংশ্লিষ্টদের।

তবে সাঁকো পারাপারে জনভোগান্তিসহ নানা অনিয়মের খবরে ঘাট এলাকায় গেলে সাক্ষাত পাওয়া যায়নি ঘাটের ইজারাদারসহ দায়িত্বশীল কাউকে।

এ ব্যাপারে জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু জানান, খেয়াঘাটের বাঁশের সাঁকোটি চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঘাটের ইজারাদারের এটি মেরামতের কথা থাকলেও তিনি সেটা করছেন না।

তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তারিফ-উল-হাসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে জনস্বার্থে বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

Facebook
Twitter
Pinterest
Reddit
Skype
Email
LinkedIn

নিউজ আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১