১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সর্বশেষ
১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সর্বশেষ

ভুল অপারেশনে মৃত্যু শিশুর, ডাক্তারসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জেলা সদর হাসপাতালে টনসিলের ভুল অপারেশনে মোস্তাকিম ( ৮) নামে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ২জন চিকিৎসকসহ ৩জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। রোববার  রাজবাড়ীর -১-নম্বর আমলী আদালতে শিশুটির মা কাকলী খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রাজবাড়ী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই হত্যা মামলার আসামি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. তাপস চন্দ্র মণ্ডল,এ্যানেসথিয়া (অঙ্গ্যান) বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. ইকরামুল করিম উল্লাস এবং রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের প্রধান গেইটের পাশে বেসরকারী ডিজিটাল ক্লিনিকের ম্যানেজার চরনারায়ণপুর এলাকার মো. আতাউর মণ্ডলসহ ৩ জনকে আসামি করা হয়। জানা গেছে, গত ২৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কাকলী খাতুন ৮ বছর বয়সী ছেলের টনন্সিলের সমস্যা নিয়ে রাজবাড়ীর মেডিকেল সেন্টারে নাক,কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ তাপস মণ্ডলের কাছে ছেলের চিকিৎসার জন্য যায়। তিনি রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিরিক্ষার শেষে রোগীর অপারেশন করার জন্য পরামর্শ এবং ঔ রোগীর তৎক্ষনাৎ বেশ কিছু পরীক্ষা নিরিক্ষা করানো হয়। কিছুক্ষণ পরে পাশেই সদর হাসপাতাল সংলগ্ন ডিজিটাল ক্লিনিকের ম্যানেজার আতাউর মণ্ডল কাকলী খাতুনকে তার ক্লিনিকে নিয়ে যান এবং সেখাও আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি কম খরচে ওই ডাক্তারকে দিয়ে টনসিল অপারেশন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে। এজন্য আতাউর মণ্ডল ওই শিশুর মায়ের কাছ থেকে অপারেশনের খরচ বাবদ নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে অপরেশনের জন্য ব্যবস্থা নেন। অভিযোগ রয়েছে, আতাউরের কথা মতো কাকলী তার ছেলেকে নিয়ে ২৮ আগস্ট রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে আসেন এবং জরুরি বিভাগ থেকে টিকিট নিয়ে বহির্বিভাগে ডা. তাপস মণ্ডলকে দেখান। ডা.তাপস রোগীর অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। পরদিন ২৯ আগস্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শিশু মোস্তাকিমের আপারেশন করা হয়। অপারেশনের আগে ডাক্তার রোগীর মাকে বলেন, অপারেশনটি ৩০-৩৫ মিনিটের মধ্যেই শেষ হবে এবং তার ছেলেকে বেডে দেওয়া হবে। এরপর ৩-৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও রোগীর জ্ঞান না ফেরায় ডাক্তাররা অপারেশন থিয়েটারে অপেক্ষা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে রোগীকে অজ্ঞান অবস্থায় অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে দ্রুতই তাকে ফরিদপুর হাসপসতালে রেফার্ড করা হয়। তাৎক্ষণিক রোগীর আত্মীয়-স্বজন রোগীকে নিয়ে প্রথমে ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে গেলে তারা রোগী গ্রহণ না করে ফেরত পাঠায়। এরপর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে ঢাকায় নেওয়ার পথে বসন্তপুর এলাকায় রোগী মোস্তাকিম মারা যায়। এ ঘটনায় দোষী ব্যাক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি শিশুর পরিবারের।

ইউএস ওপেন: বিশ্বের এক নম্বর তারকা শিয়াতেকের বিদায়

নিউ ইয়র্কের ফ্লাশিং মিডোয় বিলি জিন কিং টেনিস সেন্টারে  রোববার চলমান ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে ২০তম বাছাই লাতভিয়ার ইয়েলেনা ওস্তাপেঙ্কোর মুখোমুখি হয়েছিলেন নারী এককের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পোল্যান্ডের ইগা শিয়াতেক। প্রথম সেট জিতে কোয়ার্টার ফাইনালের ওঠার পথেই ছিলেন। কিন্তু পরের দুই সেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেন ওস্তাপেঙ্কো। দীর্ঘ ১০৮ মিনিটের তীব্র লড়াইয়ে ওস্তাপেঙ্কোর কাছে ৬-৩, ৩-৬ ও ১-৬ সেটের হারে শিয়াতেক শুধু ইউএস ওপেন থেকেই বিদায় নেননি, নারীদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানও হারাবেন। ইউএস ওপেন শেষে হালনাগাদ র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে উঠে আসবেন বেলারুশের আরিয়ানা সাবালেঙ্কা। এর মধ্য দিয়ে শিয়াতেকের টানা ৭৫ সপ্তাহ র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকার ইতি ঘটবে। কোয়ার্টার ফাইনালে মঙ্গলবার ষষ্ঠ বাছাই যুক্তরাষ্ট্রের কোকো গাফের মুখোমুখি হবেন ওস্তাপেঙ্কো। এ নিয়ে শিয়াতেকের বিপক্ষে চারবারের মুখোমুখিতে প্রতিবারই জিতলেন লাতভিয়ান তারকা। শিয়াতেক চতুর্থ রাউন্ডে উঠে আসার পথে নিজের প্রথম তিন ম্যাচে একটি সেটও হারেননি। বোঝাই যাচ্ছিল, দারুণ ফর্মেই আছেন। কিন্তু ওস্তাপেঙ্কোর বিপক্ষে নামতে হলো মাটিতে। ম্যাচশেষে ওস্তাপেঙ্কো বলেন, ‘আমি জানতাম আক্রমণাত্মক হতে হবে এবং নিজের খেলাটা খেলতে হবে, কারণ সে এটাতে অস্বস্তিতে ভোগে।’ ওস্তাপেঙ্কো এবারের ইউএস ওপেনের আগে এই প্রতিযোগিতায় কখনো চতুর্থ রাউন্ডে উঠতে পারেননি। পুরুষদের এককে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচ। ক্রোয়েশিয়ার বোর্না গোজোকে ৬-২, ৭-৫, ৬-৪ সেটে হারিয়ে শেষ আটে যুক্তরাষ্ট্রের টেলর ফ্রিৎজের মুখোমুখি হওয়া নিশ্চিত করেছেন জোকোভিচ। দ্বিতীয় বাছাই জোকোভিচ ফ্রিৎজের বিপক্ষে এর আগে সাতবারের মুখোমুখিতে প্রতিবারই জিতেছেন।

গোল করেননি, তবুও মেসি জাদুতে দুর্দান্ত জয় মায়ামির

লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামির মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ন্যাশভিলের সঙ্গে গোল শূন্য ড্র-এ পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় মায়ামিকে। তবে  সোমবার দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাটা মার্টিনোর শিষ্যরা। এমএলএসে নিজেদের ২৫তম ম্যাচে সোমবার আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লস অ্যাঞ্জেলের মুখোমুখি হয় মায়ামি। ম্যাচটিতে ৩-১ গোলের বড় জয় পায় ‘দ্য হেরনস’রা। তাও সেটিও আবার তাদের মাঠেই। মায়ামির এই দুর্দান্ত জয়ে কোনো গোলের দেখা পাননি মেসি। তবে দুটি গোলে সরাসরি সহায়তা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। শুরুতে ফাকুন্দো ফারিয়াসের (১৪ মিনিটে) গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর মেসির সহায়তা থেকে পরে আরও দুবার জালে বল জড়ান জর্দি আলবা (৫১ মিনিটে) ও লিওনার্দো কাম্পানা (৮৩)। এই ম্যাচ শেষে ২৫ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে এমএলএসের পয়েন্ট টেবিলের ১৪ নম্বরেই থাকল ইন্টার মায়ামি। ২২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের নিচে আছে কেবল টরোন্টো।

মিরাজকে ওপেনিংয়ে আনার কারণ জানিয়েছেন সাকিব

আফগানিস্তানের বিপক্ষে কঠিন সমীকরণ মাথায় রেখে রোববার মাঠে নেমেছিলো বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচে চমক দিয়ে প্রথমবার ওয়ানডেতে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলো মেহেদী হাসান মিরাজ। এই ম্যাচে বাজিমাত করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিরাজ। ১১৯ বলে ১১২ রান করে চোট নিয়ে মিরাজ মাঠ ছাড়েন। ম্যাচ শেষে মিরাজকে ওপেন করানোর কারণ জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, আগেও মিরাজ যখনই টপ-অর্ডারে সুযোগ পেয়েছে, নিজেকে প্রমাণ করেছে। আমরা সবসময়ই জানি ওর সামর্থ্য আছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওর ভালো রেকর্ড আছে। আমরা ভাবলাম কেন ওকে চেষ্টা করে দেখবো না ভালো উইকেটে। সৌভাগ্যবশত সেটি কাজে এসেছে। পেসারদের প্রশংসাও করেছেন এই টাইগার অধিনায়ক। তিনি বলেন, আমার মনে হয় আমরা পরিকল্পনা খুব ভালোভাবে প্রয়োগ করেছি। তিনজন পেসারই হৃদয় দিয়ে বল করেছে। গত দুই তিন বছর ধরেই খুব ভালো বল করছে। আজকের দিনটাও তাদের জন্য আরেকটি এমন দিনই। তারা প্রতিদিনই উন্নতি করছে। আমার মনে হয় এই ম্যাচ তাদের আরেকটু বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে, কারণ এই উইকেটে বল করা সহজ ছিল না।

টাইফুনের আঘাতে আহত ৪০, ৩০ হাজার পরিবার বিদ্যুৎবিহীন

তাইওয়ানের পূর্ব এবং দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হেনেছে টাইফুন হাইকুই। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে এই টাইফুনটি ভূখণ্ডটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে এটি আঘাত হানে।  ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার শহর ও কাউন্টিগুলোতে স্কুল এবং দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় স্বাভাবিক করতে কাজ করছে তাইওয়ানিজ কর্তৃপক্ষ। রোববারের মতো সোমবারও তাইওয়ানে বহু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। তাইওয়ানের এয়ারলাইন্স সোমবার ১৮৯টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করে। গত ৪ বছরের মধ্যে তাইওয়ানে সরাসরি আঘাত করা প্রথম টাইফুন হাইকুই। পরে টাইফুনটি দ্বীপের দক্ষিণ অংশে চলে যায়। টাইফুনের প্রভাবে সোমবারও রাজধানী তাইপেইতে বিক্ষিপ্তভাবে দমকাসহ বৃষ্টি হয়। তাইওয়ানের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, টাইফুনের আঘাতে ৪০জন আহত হয়েছে। এছাড়া তাইওয়ানের আশপাশের দ্বীপগুলোতে ফেরি পরিষেবাও স্থগিত করা হয়েছে। সিভিল অ্যারোনটিক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোতে ব্যাঘাত ঘটেছে কম। শক্তিশালী এই টাইফুনের কারণে ভূখণ্ডটিতে শুধুমাত্র ২৩টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।  তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার ব্যুরো জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে হাইকুই তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে চীনের দিকে যেতে শুরু করেছে। তবে এই টাইফুনের প্রভাবে সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত তাইওয়ানজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এদিকে টাইফুন হাইকুইয়ের জেরে সোমবার ভোরে চীনের বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের উপকূলীয় প্রদেশ ফুজিয়ান ও গুয়াংডংয়ের আশপাশে প্রবল বাতাস ও বিশাল ঢেউয়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং সমুদ্রে চলাচলরত জাহাজগুলোকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

জি-২০ সম্মেলনে শি জিন পিং না আসার খবরে জো বাইডেন হতাশ

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী গ্রুপ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের না আসার খবরে হতাশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।  চলতি মাসের ৯ এবং ১০ তারিখে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সদস্য, পর্যবেক্ষক ও আমন্ত্রিত দেশের শীর্ষনেতারা যোগদান করবেন। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভারতে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার খবরে রোববার হতাশা প্রকাশ করেন জো বাইডেন। রোববার ডেলাওয়্যারের রেহোবোথ বিচে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বাইডেন বলেন, ‘আমি হতাশ. তবে আমি তাকে দেখতেই সেখানে যাচ্ছি’। বেশ কয়েকটি সূত্র জানায়, ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলন সম্ভবত এড়িয়ে যেতে পারেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অবশ্য জিনপিং না আসলেও সম্মেলনে চীনের পক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং প্রতিনিধিত্ব করবেন। ৭-১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত সফর করবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর ভিয়েতনাম সফর করবেন তিনি। মূলত এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জোরদার করতে চায় বাইডেন প্রশাসন এবং এই কারণে আসন্ন এই সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক এই দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাসহ নানা কারণে অস্থিতিশীলতা থাকলেও উভয় দেশ সেই সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে চায়। এছাড়া গত বছরের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন শি জিনপিং। মূলত সেটিই ছিল বাইডেন ও জিনপিংয়ের সর্বশেষ সাক্ষাৎ।

কর্মীদের কম বেতন দিলেই জরিমানা লাখ ডলার, হতে পারে ১০ বছরের কারাদণ্ড

এ সংক্রান্ত একটি বিল সোমবার সংসদে উত্থাপন করা হবে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ। যেসব প্রতিষ্ঠান কর্মীদের কম বেতন দেয়, তাদের বিরুদ্ধে এ আইন করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিলটি পাশ হলে আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে আইনটি কার্যকর হবে। বিলটিতে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি কর্মীদের কম বেতন দেয়, তবে তা ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে। যারা এ অপরাধ করবেন, তাদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৭০ লাখ ৮০ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংখ্যা ১৫ জন বা তারচেয়েও কম, তারা এ আইন থেকে অব্যাহতি পাবেন বলেও নতুন বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্র সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রী টনি বার্ক সংবাদমাধ্যম এবিসি ইনসাইডারকে বলেছেন, কর্মীদের সঠিকভাবে বেতন দেওয়া নিশ্চিত করতেই এ ধরনের আইন করা হচ্ছে। এতে ফেয়ার ওয়ার্ক কমিশনের (এফডব্লিউসি) ক্ষমতা বাড়বে। কর্মীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফডব্লিউসি তদন্ত করতে পারবে। এ ছাড়া বেতন কাঠামো নির্ধারণ করার বিষয়টিও নিয়ন্ত্রণ করবে এফডব্লিউসি। এই আইনের ফলে কর্মীদের বেতন কতটা বাড়বে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খুব বেশি নয়। তবে একটি ভদ্রস্থ পরিমাণ বাড়বে নিশ্চয়। এদিকে এ নতুন বিলের সমালোচনা করেছে অস্ট্রেলিয়ার বিজনেস কাউন্সিল এবং অস্ট্রেলিয়ান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসিসিআই)। তারা বলেছে, এতে পরিষেবাগুলো আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। বার্ক স্বীকার করেছেন, কিছু প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বাড়বে। তবে এই আইন সমগ্র শিল্পের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।

সরকারের পাপের ভার আর বহন করতে পারছে না দেশ: সাইফুল হক

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আপনারা (সরকার) যে ভোটাধিকার-গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন, আজ সেই ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, নির্বাচনের বিরুদ্ধে আপনারা অবস্থান নিয়েছেন। এর চেয়ে বড় অপরাধ, পাপ আর কী? আপনাদের পাপের ভার বাংলাদেশ এবং দেশের ১৭ কোটি মানুষ আর বহন করতে পারছে না। এই কারণে আপনাদের বিদায় নিতে হবে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন : বাকস্বাধীনতা হরণের নয়া হাতিয়ার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, গতকাল (শনিবার) সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক বললেন, কোন দুঃখে তারা পদত্যাগ করবেন? আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, গত ১৫ বছরে কোন পাপ করা বাকি রেখেছেন, যে কারণে আপনারা পদত্যাগ করবেন না। আপনারা (সরকার) অতীতের সব স্বৈরাচারী শাসককে লজ্জা দিয়েছেন। সাইবার নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার জাতীয় নির্বাচনের আগে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের খোলস পরিবর্তন করেছে। কারণ তারা বিদেশিদের বোঝানোর চেষ্টা করছে সাইবার নিরাপত্তা আইনের দমনমূলক ধারাগুলোকে কিছুটা সহজ করছি। কিন্তু এই আইনে অপরাধের সংজ্ঞা একই রয়েছে। এবং অনেকটা অস্পষ্ট। তিনি আরো বলেন, পুলিশ যদি কাউকে মনে করে রাষ্ট্র বা সরকারের নিরাপত্তার জন্য তিনি হুমকিস্বরূপ, তাহলে কোন কারণ ছাড়া যে কোনো মানুষকে গ্রেপ্তার করতে পারবে। আমাদের আপত্তিটা এখানেই। এটা জঙ্গলের শাসন। এটা কোনো আইনের শাসনের নমুনা নয়। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ এই নেতা বলেন, সাংবাদিকরা যদি একসঙ্গে থাকতে পারতেন, একসঙ্গে যদি বলতেন, দুই ঘণ্টার জন্য কলম বন্ধ থাকবে, এক বেলার জন্য কলম বন্ধ থাকবে, সরকারের সাহস ছিল না এই ধরনের আইন প্রণয়ন করার। তারা (সাংবাদিক) যদি বলতেন, এর প্রতিবাদে একদিন সংবাদ প্রচার করবেন না, এই আইন করার সাহস হতো না। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।

ফগিং মেশিন চালানোয় দক্ষতা অর্জনে ভ্রমণ জার্মানি

প্রশিক্ষণার্থী ৫ জনের মধ্যে ৪ জন আমলা ও ১ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। মশার ফগিং মেশিন চালানোর দক্ষতা অর্জনের জন্য এদের জার্মানি সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ এদের কেউই মশা নিধন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন। এই কর্মকর্তারা এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর গত ১৭-২৩ আগস্ট জার্মানিতে ট্রেইনিংয়ের জন্য যান। সেখানে থার্মাল ফগার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান পালসফগে তারা প্রশিক্ষণ নেন। এলজিডি মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে বলা হয়, ভ্রমণ ব্যয় জার্মান প্রতিষ্ঠানটি বহন করেছে। সম্প্রতি ডিএনসিসি পালসফগের কাছ থেকে ১০০টি ফগিং মেশিন কিনেছে বলে ডিএনসিসির এক কর্মকর্তা জানান। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযান এবং নতুন কেনা ফগার মেশিন পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন- এলজিডির উপসচিব মো. নুরে আলম, ডিএনসিসির উপসচিব ও চিফ স্টোর অ্যান্ড পারচেজ অফিসার রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, উপসচিব ও ডিএনসিসির জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার (জোন-২) জিয়াউর রহমান, ডিএনসিসির উপসচিব ও জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার (জোন-৫) মোতাকাব্বির আহমেদ এবং ডিএনসিসির জোন ৩ এর স্প্রেম্যান সুপারভাইজার আহসান হাবীব। এলজিডি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পিন্টু বেপারী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, ডিএনসিসির ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছিলেন। বিদেশে প্রশিক্ষণ এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন দেশ এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর রেকর্ড প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে লড়াই করছে। প্রখ্যাত কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ‘প্রশিক্ষণের জন্য আমলাদের পাঠানোর কোনো মানে হয় না। প্রশিক্ষণটি জার্মানিতে না করে ঢাকায় করা যেত।’ তিনি বলেন, আরও যৌক্তিক হতো যদি ডিএনসিসির ফগার অপারেটর, কীটতত্ববিদ এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ যারা এডিস মশকনিধন অভিযানে সরাসরি জড়িত তাদের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের সাবেক পরিচালক ড. বে-নজির আহমেদ বলেন, যাদের পাঠানো হয়েছে সেটি একেবারেই ঠিক হয়নি। কীটতত্ত্ববিদদের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো উচিত ছিল। তিনি আরও জানান, ফগার মেশিন কিউলেক্স মশা নিধনে ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে কীটতত্ত্ববিদরা প্রশিক্ষিত হলে আরও ভালো অবদান রাখতে পারতেন। অফিস আদেশে স্বাক্ষরকারী পিন্টু বেপারির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি নির্দেশনা অনুযায়ী চিঠি দিয়েছি। তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’ ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা প্রশিক্ষণের জন্য আমলাদের পাঠানোর যৌক্তিকতা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।