১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সর্বশেষ
১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সর্বশেষ

বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে বাড্ডায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

রাজধানীর বাড্ডা দক্ষিণ আনন্দনগরে বাবা মায়ের সাথে অভিমান করে হোসনে আরা মিম (১৭) নামের এক এইচএসসি ভর্তি প্রত্যাশী এক তরুণী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় এ ঘটনাটি ঘটে। তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ খবর জানান বাড্ডা থানার উপ পরিদর্শক এসআই ফাতেমা সিদ্দিকা মীম। তিনি বলেন, মৃতা মিম সকাল সাড়ে দশটার দিকে সবার অগোচরে তার রুমে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে  মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে পরবর্তীতে বিকেল ২টা৫০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আত্মহত্যা করেছে তবে তদন্ত সাপেক্ষে ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। মৃতার খালু মোঃ বকুল মিয়া বলেন, মিম এবার রাজধানী আইডিয়াল স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছে। তার ইচ্ছা ছিল এইসএসসি সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ভর্তি হবার। কিন্তু তার বাবা-মা বাড্ডায় স্থানীয় ইম্পেরিয়াল কলেজে ভর্তি করতে চেয়েছিল। সে কারণেই বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে সকালে সাড়ে দশটার দিকে সবার অগোচরে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। মৃতা মিম বাড্ডা দক্ষিণ আনন্দনগর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নিরাপত্তা কর্মী জালাল হোসেনের মেয়ে। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সে ছিল বড়।

সিলেটের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ লেখাপড়া করতে চায়, প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা

ছোট বেলা থেকেই নানা প্রতিকূলতার মাঝে জীবন চলছিলো পায়েল হিজরার। তারপরও থেমে থাকেননি তিনি। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হওয়ায় শত অবহেলা আর অসম্মানের ভিতর দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছিলেন লেখাপড়া। কিন্তু হঠাৎ করেই থেমে গেলো তার জীবন চাকা। টাকার অভাবে বি এ ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারেননি পায়েল। শুধু পায়েল নন, তার মতো আরো অনেক তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ সিলেটে আছেন, যারা আর্থিক সংকটের কারণে মাঝখানে এসে লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়েছেন। কারো একটু সহযোগিতা পেলে আবার তারা লেখাপড়া শুরু করতে চান, পৌঁছুতে চান তাদের নিজ নিজ লক্ষ্য। পায়েলের মতো জ্যোতিষ বিশ্বাস জনি ও মেহেদী হাসান মাহী স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারেননি । সুক্তা, জুয়েল আহমেদ আকাশ (জুঁই) ও আব্দুল বাছিত নয়ন (তামান্না খান) এসএসসি দিতে পারেননি। তারা আবারও লেখাপড়া শুরু করতে চান। সমাজের  স্বাভাবিক মানুষদের মতো ঘুরে দাঁড়াতে চান জীবনের পথে। তারা বলছেন, তাদের এই স্বপ্ন পুরণ করতে সরকার বা সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে তারা আবার লেখাপড়া করে জীবন পথে অগ্রসর হতে পারবেন। এ ব্যাপারে পায়েল হিজরা বলেন, আমার বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে, থাকি কদমতলীতে। আমি স্নাতক ২য় বর্ষের ছাত্রী, অনেক কষ্ট করে এইটুকু এসেছি। কিন্তু আর সামনে যেতে পারছি না। যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি বা সরকার আমার লেখাপড়ার দয়িত্ব নেন তাহলে হয়তো আমি ভালোভাবে লেখাপড়া করে ভালো চাকরি করতে পারবো। এই অভিশপ্ত জীবন থেকে বেরোতে পারবো। সুপ্তা হিজরা বলেন, আমার বাড়ি ঢাকার গাজীপুরে। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সিলেটের কদমতলীতে থাকি। এখান থেকেই আমার জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। আমি নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছি তাও অনেক কষ্ট করে। এখন যদি সুযোগ পাই আমি আবার লেখাপড়া শুরু করতে চাই, লেখাপড়া করে ভালো একটি চাকরি করার স্বপ্ন দেখি। জুয়েল আহমদ আকাশ বলেন, আমার বাড়ি হবিগঞ্জে। আমরা পাঁচ ভাই বোন। আমি অনেক কষ্ট করে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছি। আমার স্বপ্ন ছিলো লেখাপড়া করে ভালো কিছু করবো। কিন্তু ভাগ্য আমার স্বপ্নের মধ্যেই থেকে গেলো। এখন যদি সহায়তা পাই তাহলে আবার আমি লেখাপড়া শুরু করবো, চেষ্টা করবো আমার স্বপ্ন পূরণ করতে। এ ব্যাপারে প্রবাসী ফারমিছ আক্তার বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা আমাদের সমাজে অবহেলিত একটি জনগোষ্ঠী। তাদের প্রতি আমার সহযোগিতা সব সময় থাকবে। বিশেষ করে যারা লেখাপড়া করে সুন্দর জীবন গড়তে চায় তাদেরকে আমি আমার সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবো। সিলেট জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো আব্দুর রফিক বলেন, সরকার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অনেক সহযোগিতা করছে। তাদের মধ্যে যারা লেখাপড়া করে তাদেরকে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। তারা মাসে মাসে বৃত্তি পাচ্ছে। তাছাড়া যারা লেখাপড়া করতে ইচ্ছুক তাদেরকেও আমরা যতটুকু পারি সহযোগিতা করবো।

টাঙ্গাইলে রাস্তা পাকা করার দাবিতে মানববন্ধন ধানের চারা রোপন করে

জেলার ঘাটাইল উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের খুপিবাড়ী এলাকায় চার কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণের দাবিতে ধানের চারা রোপন করে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় বক্তব্য দেন ঘাটাইল উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব এডভোকেট মো. আবুবকর সিদ্দিক, পল্লী চিকিৎসক তোফাজ্জল হোসেন খান, মমিনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোপীনাথ সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এনামুল হক খুররম, সংগ্রামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. রুমান খান খোকন প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, সংগ্রামপুর ইউনিয়নের খুপিবাড়ী কাহারের খাল ব্রীজ থেকে লাহিড়ীবাড়ী ও ফসল হয়ে চাপড়ী হাসান মোড় পর্যন্ত রাস্তা দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বেহাল সড়কে শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণের চলাচল করা দায় হয়ে পড়েছে। উপজেলা শহরে যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি বেহাল দশা থাকায় রোগি নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ ব্যাপারে সংগ্রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, খুপিবাড়ী কাহারের খাল ব্রীজ থেকে লাহিড়ীবাড়ী ও ফসল সড়কের চার কিলোমিটারের মধ্যে ইতোমধ্যে দেড় কিলোমিটার টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। খুব দ্রুতই ঠিকাদার নির্বাচন হলে উত্তর অংশে আধা কিলোমিটার ও দক্ষিণ অংশে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হবে। বাকি অংশ পরবর্তীতে পাকা করণ করা হবে। আমি দায়িত্ব পেয়েছি মাত্র চার মাস। এরমধ্যেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই কাজে হাত দিয়েছি।

গলায় পেয়ারা আটকে মৃত্যু শিশুর

গলায় পেয়ারা আটকে শিশুকন্যা মালেহা মুসকান জায়রা (১৬ মাস) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মোড়লপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুকন্যা জায়রা জেলার মিঠামইন উপজেলার মুরাদ ভূঁইয়ার মেয়ে। তারা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মোড়লপাড়া এলাকার বাসিন্দা। শিশুটির মামা আফফান জানান, রাতের ট্রেনে বাবা-মায়ের সঙ্গে জায়রার চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা ছিল। নানা বাড়ি রেল স্টেশনের কাছে হওয়ায় তারা শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের বয়লা এলাকার নানার বাসায় চলে আসেন। তখন পেয়ারা খাওয়ার সময় জায়রার গলায় পেয়ারা আটকে যায়। পরে পরিবারের লোকজন পেয়ারার টুকরো গলা থেকে বের করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তাকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও শহরের একটি ক্লিনিক নিয়ে যায়। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশু জায়রার মৃত্যু হয়। শিশু জায়রা বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। জায়রার মৃত্যুতে স্বজন ও প্রতিবেশীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

দুর্গাপূজায় ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন চেয়ে ভারতে প্রায় ১শ’ আবেদন

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি শাখা সূত্র জানায়, তবে কত প্রতিষ্ঠানকে, কী পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। রপ্তানি শাখা সূত্রটি জানায়, প্রায় একশ প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে, সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করা হবে। এর মধ্যে মৌসুমি ব্যবসায়ী বেশি। সেখান থেকে হবে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা। আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে বৈঠক করে এটি চূড়ান্ত করা হবে। মাছ রপ্তানির বিষয়টি মূলত কী পরিমাণ মাছ ধরা পড়লো, সেটির ওপর অনেকটা নির্ভর করে। তাই প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা দেখে অনুমতি দেওয়া হবে। গত বছর ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ৫০ মেট্রিক টন করে মোট ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ইলিশ রপ্তানির শর্তে বলা হয়েছিল, রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে; শুল্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা রপ্তানি করা পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে; প্রতিটি কনসাইনমেন্ট শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত কাগজপত্র রপ্তানি-২ অধিশাখায় দাখিল করতে হবে; অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ পাঠানো যাবে না।

রিজার্ভ ডে শুধু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে থাকা আদর্শ হতে পারে না: কোচ হাথুরু সিংহে

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শুধু ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচে রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে, এর সঙ্গে থাকছে ফাইনালও। কিন্তু বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচগুলোতে এমন সুবিধা নেই। এক্ষেত্রে দুই দলের কোনো ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলে পয়েন্টে টেবিলে সেটি পিছিয়ে দিতে পারে দলগুলোকে। এমন নিয়ম আদর্শ নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত প্রতিটি দেশ থেকে প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি করা একটি টেকনিক্যাল কমিটি আছে। ছয়টি দেশেরই লোক আছে ওখানে। তারা নিশ্চয়ই কোনো কারণে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হ্যাঁ, এটা আদর্শ কিছু নয়। আমরাও একটা অতিরিক্ত দিন পেলে খুশি হতাম। এর বাইরে আমার খুব বেশি কিছু বলার নেই, কারণ তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। যখন আপনি একবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন, তখন আসলে খুব বেশি কিছু বলার থাকে না। যদি আগে আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করা হতো, তাহলে আমরা কিছু একটা বলাটা পছন্দ করতাম। যেহেতু ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, আমি খুব বেশি চিন্তা করছি না। আমরা শুধু সেটাই করবো, যা করতে বলা হবে। আমি এরকম কিছু অন্য টুর্নামেন্টে দেখিনি। টুর্নামেন্টের মাঝখানে এমন নিয়ম বদলে ফেলা কোথাও হয় না।

বলিভিয়ার বিপক্ষে গোল করে নেইমার টপকে গেলেন কিংবদন্তি পেলেকে

গত মাসে পিএসজি ছেড়ে সৌদি ক্লাব আল হিলালে নাম লিখিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার নেইমার জুনিয়র। তবে ইনজুরির কারণে নতুন ক্লাবের জার্সি পরে এখনো মাঠে নামেননি তিনি। কিন্তু ইনজুরি কাটিয়ে কাতার বিশ্বকাপের পর শনিবার ভোরে প্রথমবার দেশের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন নেইমার। এদিন ঘরের মাঠে বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিতে মাঠে নামার আগে থেকেই নেইমারকে হাতছানি দিচ্ছিলো ইতিহাস গড়ার। কিংবদন্তি সাবেক ফুটবলার পেলেকে টপকে রেকর্ডবুকে নাম তোলার। নেইমারের রেকর্ড গড়ার দিনে সেলেসাওরা বলিভিয়াকে হারিয়েছে ৫-১ ব্যবধানে। রদ্রিগো ও নেইমারের জোড়া গোলে বড় জয় দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ার মিশন শুরু হয় ব্রাজিলিয়ানদের। ম্যাচের ৬১ মিনিট অপেক্ষার পর অবশেষে এলো সেই মহেন্দ্রক্ষণ। বলিভিয়ার জালে গোল ঠুকে দিয়ে পেলেকে ছাড়িয়ে ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে নাম লেখালেন নেইমার। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে বর্তমানে নেইমারের গোলসংখ্যা ৭৮। ইতিহাসের পাতায় নাম নেইমার লেখাতে পারতেন ম্যাচের শুরুতেই। পেনাল্টি শ্যুট আউট থেকে গোল করে পেলেকে টপকে যাওয়ার সুযোগ নেইমার পেয়েছিলেন ম্যাচের ১৭তম মিনিটেই। কিন্তু পেনাল্টিতে দক্ষ এই ফুটবলার বলিভিয়ার বিপক্ষে যেই শটটি নিলেন সেটি দেখে রীতিমতো ভিমড়ি খাওয়া লাগবে। দেখেশুনে শটটি নেইমার নিয়েছিলেন গোলরক্ষকের বরাবর। যেন তাকে অনুশীলন করাচ্ছিলেন গোল ঠেকানোর। সেই শট ঠেকিয়ে দিয়ে বলিভিয়ার গোলরক্ষক নেইমারের রেকর্ডবুকে নাম তোলার অপেক্ষাটা করেন দীর্ঘায়িত। কিন্তু ম্যাচের ৬১তম মিনিটে সুযোগ হাতছাড়া করেননি ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। ডিবক্সের ভেতর জটলার মধ্যে রদ্রিগোর পা হয়ে বল আসে নেইমারের সামনে। সেখান থেকে বল জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পেলেকে টপকে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে নিজের নাম তোলেন রেকর্ডবুকে।

সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে এশিয়া কাপ ছেড়ে মুশফিক দেশে ফিরছেন

চলমান এশিয়া কাপের সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ শেষে দেশে ফিরে আসছেন উইকেট রক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। পারিবারিক কারণে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচ অসমাপ্ত রেখে দেশে ফিরতে চান তিনি। জানায়, মুশফিক এবং জান্নাতুল কেফাইয়াত মণ্ডি দম্পতির ঘরের নতুন অতিথি আসতে যাচ্ছে। আর সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতেই দেশে ফেরার চিন্তা করছেন মুশফিক। টিম ম্যানেজমেন্টকে ইতোমধ্যে মুশফিক জানিয়েছেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তার ঢাকায় থাকা প্রয়োজন। সুপার ফোরে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের। এরপরও মুশফিকের পারিবারিক বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এর আগে, সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে এশিয়া কাপের মাঝপথে ভারতে ফিরেছিলেন ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। এদিকে মুশফিক ফিরলে তার পরিবর্তে কাউকে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি। কেননা, লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচের ওপরই অনেক কিছু নির্ভর করছে। এই ম্যাচে জয় পেলে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন জিইয়ে থাকবে বাংলাদেশের। তাই লঙ্কানদের সঙ্গে ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।

যুদ্ধে হারছে মিয়ানমার, জান্তার নিয়ন্ত্রণে ৩০ শতাংশ ভূখণ্ড: পূর্ব তিমুর

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা মিয়ানমারের সামরিক সরকারবিরোধী ছায়া সরকার বলে পরিচিত ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টকে (এনইউজি) স্বীকৃতি দিয়ে বলেছেন যুদ্ধে দেশটির জান্তা সরকার হারছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী। প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির সরকার বর্তমানে দেশটির মাত্র ৩০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে। বলা হয়েছে, বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকারকে (এনইউজি) মিয়ানমারের সরকারি প্রশাসন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এই যুদ্ধে জিতছে না। তিনি বলেছেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এই যুদ্ধে জিতছে না। জনগণ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। এবং সামরিক বাহিনী এই যুদ্ধে জিতবে না। এর আগে গত জুলাই মাসে রাজধানী দিলিতে এনইউজি-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড জিন মার অং-এর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা। সেই বৈঠকের পর মিয়ানমারের জান্তা গত মাসে দেশ থেকে পূর্ব তিমুরের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। এছাড়া পূর্ব তিমুর গত বছর অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) এ যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়। যদিও ব্লকের অন্য নয়টি বিদ্যমান সদস্যের কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে এনইউজিকে স্বীকৃতি দেয়নি। পূর্ব তিমুরের প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসমাও বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৯টি দেশের এই জোট যদি মিয়ানমারে চলমান সংঘাত অবসানের প্রচেষ্টা নতুন করে শুরু না করে তবে আসিয়ানে যোগদানের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে পূর্ব তিমুর। এর আগে অবশ্য মিয়ানমার সংকটের অবসান ও দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাঁচ দফা প্রস্তাবে একমত হয়েছিল আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলো। প্রেসিডেন্ট রামোস-হোর্তা বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে পাঁচ দফা ঐকমত্যের মধ্যে থাকা অঙ্গীকার পূরণে আসিয়ান দেশ ও বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী গুসমাও তার এবং আমাদের হতাশা প্রকাশ করছেন। প্রেসিডেন্ট রামোস-হোর্তা বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাদের নিজের দেশ, তাদের নিজস্ব জনগণ এবং আসিয়ানের বিশ্বাসযোগ্যতার যে বিশাল ক্ষতি করছে, তা (মিয়ানমারের জান্তা) এখনও অনুধাবন করতে পারছে না।’ তিনি বলেন, পূর্ব তিমুর মিয়ানমারের সমস্যা মোকাবিলায় ব্লককে সহায়তা করার জন্য আসিয়ানের সাথে কাজ করবে। কারণ আসিয়ান নেতারা অতীতে এই অঞ্চলে সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী, তারা শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সক্ষম হবে।’ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ােিত সামরিক বাহিনী সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে এবং সামরিক শাসনের বিরোধীদের ওপর ভয়াবহ দমনপীড়ন চালায়। এতে বহু মানুষ নিহত হয় এবং আরও হাজার হাজার মানুষকে বন্দি করা হয়। গত আগস্ট মাসে মিয়ানমারের ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) জানিয়েছিল, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে নিজেদের সশস্ত্র শাখা এবং বিদ্রোহী মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় মিয়ানমারের ৩ হাজার ১২ জন জান্তা সৈন্য নিহত এবং আরও ৪ হাজার ২১ জন সেনা আহত হয়েছেন।

৬.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মরক্কোয় নিহত অন্তত ৮২০

মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য মতে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে আটলাস পর্বতমালার ওকাইমেদেনের স্কাই রিসোর্টের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। বিষয়টি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে রাবাদ থেকে শুরু করে উত্তরের সিদি ইফনিসহ পুরো দেশ কেঁপে ওঠে। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮। ঝাঁকুনি সহ যা কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল। মরক্কোর ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং অ্যান্ড অ্যালার্ট নেটওয়ার্ক রিখটার স্কেলে এটিকে ৭ মাত্রায় পরিমাপ করেছে। মার্কিন সংস্থা জানিয়েছে, ১৯ মিনিট পরে একটি ৪.৯ মাত্রার আফটারশক আঘাত হানে। ভূমিকম্পে কিছু ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে  ঐতিহাসিক পুরাতন মারাকেশ শহর। এই মারাকেশ ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী একটি স্থান। সেখানে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। আর পুরাতন এই শহরটিতেই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কংক্রিটের বিল্ডিংগুলিতে ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। যেখানে ভূমিকম্পটি সংঘটিতে হয়েছে সেখানে সাধারণত ভূমিকম্প হতে দেখা যায় না। কিন্তু শুক্রবার যে ভূমিকম্পটি হয়েছে— এটি ওই অঞ্চলে গত ১২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কয়েক ডজন লোকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। কোনো মৃত বা আহতের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ পাওয়া যায়নি।