কালিয়াকৈরে কমিটির দ্বন্দ্বে মাদ্রাসায় তালা, বারান্দায় শিক্ষার্থীরা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কমিটির দ্বন্দ্ব নিয়ে একটি মাদ্রাসার তিনটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেলেও মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার বারান্দায় পাঠদান চলছে। এ নিয়ে টান টান উত্তেজনায় তিন গ্রামের মানুষের মাঝে। এলাকাবাসী ও তিন গ্রামের বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার মাথালিয়া এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে মাওলানা জহিরুল ইসলাম পাশের কান্দাপাড়া চন্ডিতলা গ্রামে একটি মাদ্রাসা করেন। কামারিয়া, কান্দাপাড়া ও চন্ডিতলা গ্রামের মানুষের সমন্বয়ে কান্দাপাড়া চন্ডিতলা, কামারিয়া নূরাণী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা নামকরণ করা হয়। প্রায় ৭বছর ওই মাদ্রাসা ঠিকঠাক চলে আসলেও সম্প্রতি ম্যানেজিং কমিটিসহ চলছে নানা দ্বন্দ্ব। এর জেরে গত সোমবার সকালে ওই মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় মোঃ কদ্দুস, হাবিবুর রহমান, আলহাজ, নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি। ওইদিন বিকেলে ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। আর এসব নিয়ে আতঙ্কে কমে গেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। এদিকে আতঙ্ক নিয়ে গত দু’দিন ধরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে মাদ্রাসার বারান্দায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত তালা খুলে না দেওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম। ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জহিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগে উলেখিত ব্যক্তিরা আমাদের কাছে দু’ই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছিল। ওই চাঁদার টাকা না পেয়ে তারা মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। একই দাবী জানিয়েছেন ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জালাল উদ্দিন। নিজেকে ওই মাদ্রাসার সভাপতি দাবী করে হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয় কয়েকজন মিলে ৩শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে ওয়াকফা করে দিয়েছেন। কিন্তু ওই মাদ্রাসার টাকায় সাড়ে ৫শতাংশ জমি কিনেন পিন্সিপাল মাওলানা জহিরুল ইসলাম। তা নিজের নামে নিয়েছেন। কমিটি কোনো বিষয় নয়, মুলত ওই সম্পত্তি মাদ্রাসার নামে ওয়াকফা না করায় বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত চাঁদা দাবী কারীদের মধ্যে মুঠোফোনে মোঃ কদ্দুস জানান, আমরা কোনো চাঁদা দাবী করি নাই। তবে আমরা নয়, জমি ওয়াফকা নিয়ে গন্ডগোলের কারণে গ্রামপুলিশের মাধ্যমে ওই মাদ্রাসায় তালা দিয়েছে স্থানীয়রা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ জানান, মাদ্রাসায় তালা দেওয়ার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখে আমাকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অর্থপাচার ঠেকাতে হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, দেশ থেকে অর্থপাচার ঠেকাতে হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অপরাধে যুক্ত হওয়ায় প্রতিদিনই এক থেকে ২শ’ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে। সোমবার (১১ মার্চ) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদর দফতরে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, যারা এক্সপোর্টার আছে তারাও মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত। এ জন্য অবৈধ অর্থ লেনদেন প্রতিরোধে সরকারি সব সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, দেশে বছরে মানি চেঞ্জারের মাধ্যমে লেনদেন হয় ৪৫ থেকে ৫০ মিলিয়ন। আর ব্যাংকিং চ্যানেলে হয় ২৭০ বিলিয়ন। কিন্তু ছোট একটি অংশের লেনদেন সত্ত্বেও মানি চেঞ্জাররা যখন ডলারের রেট ২ টাকা বাড়িয়ে দেন, তখন অনেক প্রবাসীই রেমিট্যান্সের অর্থ ধরে রাখার চেষ্টা করেন। এভাবেই ডলার সংকট তৈরি হয়। এ জন্য মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। অনুষ্ঠানে সিআইডি প্রধান মো. আলী বলেন, মাদক, মানি লন্ডারিং মামলায় শুধু বাহক বা ব্যবহারকারী নয়, গডফাদারদের খোঁজা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে তদন্ত কর্মকর্তাদের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
বাংলাদেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এডিবি ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তাদের প্রস্তুতি এবং স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করতে ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে। বাসস জানায়, এডিবির সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ পুষ্কর শ্রীবাস্তবকে উদ্ধৃত করে একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এডিবির অতিরিক্ত সহায়তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উৎপাদনশীলতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে, বিশেষ করে নারী ও দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য আয় ও টেকসই জীবিকা বাড়াবে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য হ্রাস করবে।’ আর্থিক অনুদান প্রকল্পটি ৬০০,০০০-এরও বেশি লোককে উপকৃত করবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপকতা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ (এফসিডিআই) ব্যবস্থা চালু ও লবণাক্ত অনুপ্রবেশ হ্রাস করবে।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি মানুষের সহ্য ক্ষমতার বাইরে: সিপিডি
মূল্যবৃদ্ধিতে গ্রাহককে প্রতিমাসের বিলে গড়ে ১০৬ থেকে ১১৮ টাকা বাড়তি বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) জানিয়েছে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে বাসা বাড়িতে গড়ে বাড়তি বিল দিতে হবে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক, এর ফলে চাপ পড়বে ভোক্তার ওপর। গতকাল বুধবার সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিপিডি এই কথা জানিয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার প্রেক্ষিতে ‘সাম্প্রতিক বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি ভর্তুকি সমন্বয়ের অন্য বিকল্প আছে কি’ এ নিয়ে সিপিডির সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানাতে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কেনার কারণে সরকার তার দায় ভোক্তার ওপর চাপিয়েছে মন্তব্য করে সিপিডি জানায়, গ্যাস থেকে এলএনজি বিদ্যুতে যেতে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির কারণ। এই মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তার পর বাড়তি চাপ ফেলবে, যা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এসময় সিপিডির পরিচালিত জরিপের তথ্য তুলে ধরা বলা হয়েছে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে বাসা বাড়িতে গড়ে বাড়তি বিল দিতে হবে প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ। শীতে গড়ে মানুষকে অতিরিক্ত ১০৬ টাকা আর গরমকালে ১১৮ টাকা বাড়তি বিল দিতে হবে। নির্বাহী আদেশ নয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের মাধ্যমে গ্যাস বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিপিডি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সার্থে গণশুনানির মাধ্যমে দাম বৃদ্ধি বা কমার কাজটি করার দাবি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির। সংস্থাটি বলছে, যে হারে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে তা ভোক্তার সহ্য ক্ষমতার বাইরে। যদিও সরকার বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধির ফলে ভোক্তার ওপর চাপ পড়বে না বলেছে। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে শুধুমাত্র নির্বাহী আদেশের ভিত্তিতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে, এতে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করে সিপিড। অনতিবিলম্বে সরকারকে বিদ্যুৎ জ্বালানি অ্যাক্ট এর ওই ধারা রোহিত করে বিইআরসি এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক বিডিং ও গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে সিপিডি। [১১]নো ইলেকট্রিসিটি নো পে এর ভিত্তিতে সরকারকে যেতে হবে উল্লেখ করে আগামী ৫ বছরের মধ্যে সরকারকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাওয়াসহ ৪টি বিকল্প পথরেখাও দিয়েছে সিপিডি । কোন প্রেক্ষাপটে সরকার মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিলো সম্মেলনে সে প্রশ্নও রেখেছে সিপিডি। আইএমএফের পরামর্শে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমানোর কথা বলে সরকার যেভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে এটার প্রয়োজনই পড়বে না। সরকার যদি এই ৪ পদক্ষেপ নেয় বিদ্যুৎ খাতে তাহলে ২০২৯ সাল থেকে আর বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দিতে হবে না। ক্রমান্বয়ে তেলভিত্তিক কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বের হওয়া, বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি বাবদ অর্থ পরিশোধে নো ইলেক্ট্রিসিটি নো পে ব্যবস্থাসহ ৪ বিকল্প পন্থা জানিয়ে সিপিডি বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন ৩০ শতাংশ বাড়ালেই আর ভর্তুকি দিতে হবে না সরকারকে।
বাজারে নতুন আমের সঙ্গে খেজুরসহ বিদেশি ফলের দাম আকাশ ছোঁয়া
প্রথম রোজা থেকেই রাজধানীর বাজারের চিরচেনা চিত্র পাল্টে গেছে। বাজারে নতুন কাঁচা-পাকা আমসহ বেল তরমুজ,আনারসসহ দেশি-বিদেশি ফলে ভরপুর থাকলেও দাম আগুন ছোঁয়া। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তেমন ক্রেতা বাজারে দেখা না গেলেও একাধিক ব্যাবসায়ী জানিয়েছেন, রমজানের আগেই অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে খেজুরসহ বিভিন্ন ফলের দাম। ফাল্গুনেই বাজারে উঠেছে মধু মাসের ফল পাকাআমসহ কাঁচাআম এবং তরমুজ, বেল, বরইসহ নানা ফল। ফল বিক্রেতা আতর আলী জানিয়েছেন, প্রতি কেজি পাকাআমের দাম ৫০০টাকা আর কাঁচা আম ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। পাকা আম দেশে এসেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আর কাঁচা আম এসেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। রাজধানীর কৃষি মার্কেট,টাউনহল বাজারসহ নিউ মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে এমনটা-ই চিত্র। বরই বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৬০ টাকায় , বেল ১০০-২০০ টাকা,আনারস ৫০-৮০ টাকা আর ডাব ৮০-১৫০ টাকায়। অন্যদিকে রোজাকে কেন্দ্র করে আরেক দফা বেড়েছে আমদানি করা ফলের দাম। গত দুই দিনের ব্যাবধানে সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০-৫০ টাকা।রোজার শুরুতে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাকে বাজারের দেশি-বিদেশি ফল, যা সাধারণক্রেতার নাগালের বাইরে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি পাইকারি যেভাবে কেনা, খুচরা সেভাবেই বিক্রি করতে হচ্ছে। ভোক্তাদের সংগঠন ক্যাব বলছে, ফলের পাইকারি, খুচরা সব ধরনের বাজারেই মনিটরিংয়ের অভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানিকারক পর্যায়ে মাল্টা ও কমলা ১৫ কেজির কার্টন ৪ হাজার টাকা। ১৫ দিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৬০০ টাকায়। এক মাস আগে মাল্টার ১৫ কেজি কার্টন বিক্রি হয় ৩ হাজার টাকায়। তাহের আলী জানিয়েছেন, চায়না আপেল ২০ কেজি কার্টন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৩০০- ৩ হাজার ৪০০ টাকায়। তবে এক নম্বর চায়না আপেল বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০-৪হাজার ৭০০ টাকায়। একইভাবে ৯ কেজি কার্টনের নাশপতি বিক্রি হচ্ছিল ১৯০০-১৯৫০ টাকা।এক সপ্তাহ আগে এসব নাশপতির দাম ছিল ১৭০০-১৭৫০ টাকা। এদিকে চায়না ম্যান্ডারিন ৮ কেজির কার্টন বিক্রি হচ্ছে ১৫০০-১৬০০ টাকায়। তবে আঙুর ও আনার পুরোটাই পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আসে। আনারের কার্টন প্রতি বিক্রি হচ্ছিল পাঁচ হাজার থেকে পাঁচ হাজার তিনশ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও কার্টনপ্রতি এক হাজার টাকা কম ছিল। মার্চ মাসের শুরুতে এসব আনারের দাম ছিল৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪হাজার টাকা। ২০-২২ কেজির আঙুরের কার্টন বিক্রি হচ্ছে ৪৪০০-৪৬০০ টাকায়। একস সপ্তাহ আগেও এসব আঙুরের দাম ছিল ৩৬শ টাকা থেকে ৩৮শ টাকা। ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুর। চলতি বছর নিম্নমানের খেজুরের কেজিও ৫০০ টাকা। অন্য সব ধরনের খেজুরের দামও বেড়েছে কেজিতে ২০০-৩০০ টাকা। খেজুর ব্যবসায়ীরা জানান, সকল মানের খেজুরে ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছে। এমনও খেজুর আছে ৫০০ টাকা বেড়েছে কেজিতে। যা গতবছর ৪০০-৫০০ টাকায় মোটামুটি ভালো খেজুর পাওয়া গেছে কিন্তু এবার সেই খেজুর ৮০০-১০০০ টাকা। আপেল ছিল ১৮০-২০০ টাকা তা এখন সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি, আঙ্গুর ২৬০-২৮০ টাকা। ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান অবশ্য বলেন, তেলের দাম কমেছে। চিনির শুল্ক সামান্যই কমনো হয়েছে। তিনি বলেন, প্রভাব বাজারে পড়ার কথা নয়। আর খেজুর নিয়ে আমরা সমস্যায় আছি। কারণ শুল্ক কমানো খেজুর এখানো আসেনি। আগের আনা খেজুর তাই দাম বেশি। তবে বস্তায় আনা খেজুরের দাম আমরা কেজি ২০০ টাকার নিচে দাম ঠিক করে দিচ্ছি।
টানা ২৮ ম্যাচ জয়ে নেইমারের আল হিলাল গড়লো বিশ্ব রেকর্ড
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আল ইত্তিহাদকে ২-০ গোলে হারানোর মধ্য দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে নেইমারের ক্লাব আল হিলাল। শীর্ষ লিগে খেলা কোনো দলের সর্বোচ্চ ২৮ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড এখন আল হিলালের দখলে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে আল ইত্তিহাদকে হারিয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের রেকর্ডের মালিক ওয়েলশের ক্লাব দ্য নিউ সেন্টসকে টপকে গেছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটি। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে আয়াক্সের গড়া টানা ২৬ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ২০১৬-১৭ মৌসুমে ভেঙে দেয় সেন্টস। ওয়েলশের ক্লাবটি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে জিতেছিল টানা ২৭ ম্যাচ। আল হিলাল সর্বশেষ পূর্ণ পয়েন্ট হারিয়েছিল গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর। দামাকের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল আল হিলাল। এরপর থেকে সব ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে নেইমারের দল। সৌদি লিগে ১৬ ম্যাচ, কাপ প্রতিযোগিতায় ৩ ম্যাচ এবং এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ৯ ম্যাচ জিতল আল হিলাল।
প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। বুধবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। এখন পর্যন্ত ৫৪টি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। এতে ৪২ টিতে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে টাইগারদের জয় ১০ ম্যাচে। আর ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে এসে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিলো লঙ্কানরা। তারআগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবগুলো সিরিজই জিতেছে শ্রীলঙ্কা।
ফরচুন বরিশালে তিন ম্যাচ খেলে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা নিয়েছেন ডেভিড মিলার
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার জন্য বিয়েই পিছিয়ে দিয়েছিলেন ডেভিড মিলার। তবে শুধু খেলার প্রতি টান বললে ভুল হবে। আসলে তিন ম্যাচের জন্য মিলার পেয়েছেন দেড় লাখ মার্কিন ডলার। (বাংলাদেশে মুদ্রায় ১১০ টাকা প্রতি ডলারে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা) আর, সেটাই খেলার প্রতি তার আবেগ বৃদ্ধির আসল কারণ। মিলারের এই কাহিনি সামনে এনেছেন পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরাম। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) পোস্ট ম্যাচ আকরাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশে মিলারকে বিপুল অর্থ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এ মিলার মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন। আর ফরচুন বরিশালকে প্রথমবারের খেতাব জিতিয়েছেন। বিপিএল সম্পর্কে বলছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি। তখনই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার ডেভিড মিলারের প্রসঙ্গ টানেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্ভর ক্রিকেটের প্রতি খেলোয়াড়দের আকর্ষণ ক্রমশ বাড়ছে। একথা বোঝাতে গিয়েই আকরাম টেনে আনেন মিলারের প্রসঙ্গ। তিনি জানান, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য মিলার তার বিয়ে পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন। ফরচুন বরিশালের হয়ে মিলার যে তিনটি ম্যাচে খেলেছেন, দল তার সবগুলোতেই জিতেছে। আর, তাতেই ফরচুন বরিশাল, বাংলাদেশ আইপিএলের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। তবে, বিয়ে পিছিয়ে দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার কিন্তু বিয়ে ভাঙেননি। দীর্ঘদিন ধরেই বান্ধবী ক্যামিলা হ্যারিসের সঙ্গে তার প্রেম। বাংলাদেশ লিগে নিজের দল বরিশালকে জেতানোর পর অবশেষে ১০ মার্চ বিয়েটাও সেরেই ফেলবেন বলে ঠিক করে নিয়েছেন। পিএসএলে পেশোয়ার জালমি আর করাচি কিংসের মধ্যে ম্যাচ শেষে তিনি শুধু বলেন, আমরা আলোচনা করছিলাম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের কী হলো। তখনই জানতে পারলাম, মিলার লিগের জন্য ওঁর বিয়ে পিছিয়ে দিয়েছিল। তিন ম্যাচে দেড় লাখ মার্কিন ডলার নিয়ে গেছে। এখানে তো পাকিস্তান লিগের বাইরে কিছু আলোচনাই হয় না। তবে মিলারের দল জিতলেও তিনি যে খুব ভালো খেলেছেন, এমনটা কিন্তু নয়। তিন ম্যাচে মাত্র ৪৭ রান করেছেন। বিপিএলের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি লিগেও খেলে এসেছেন মিলার। সেখানে পার্ল রয়্যালসে ছিলেন। আইপিএলেও তাকে খেলতে দেখা যাবে। শুভমান গিলের গুজরাট টাইটাইসের হয়ে এবারের আইপিএলে মিলার খেলবেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, মিলারের জন্যই গত দু’বছর গুজরাট টাইটানস অসাধারণ খেলেছে।
ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে গাজায়: ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে জোসেফ বোরেল এ কথা বলেন। অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণসহায়তার অভাবকে ‘মানবসৃষ্ট’ বিপর্যয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান। এদিকে গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে হামলা জোরদার করার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য সহায়তা পাঠানোর দ্রুততম পন্থা হলো স্থলপথের ব্যবহার। কিন্তু ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী স্থলপথে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তাই বিকল্প পথে ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ নিতে হয়েছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডানসহ অনেক দেশ বিমান থেকে গাজায় ত্রাণ ফেলেছে। এখন সমুদ্রপথে সেখানে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে জোসেফ বোরেল বলেন, কার্যকর স্থলপথের অভাবের কারণে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। বোরেল বলেন, গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা দরকার। এ জন্য যতটা সম্ভব কাজ করে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সংশোধিত মার্কিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাস সম্মত
এ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার কয়েকদিনের মধ্যে কায়রোয় আবার আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এখবর জানিয়েছে। হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা মঙ্গলবার বলেছেন, গাজার যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সংশোধিত মার্কিন প্রস্তাবকে তাদের সংগঠন গ্রহণ করেছে। সূত্র আলআরাবিয়াকে বলেছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার চুক্তি চুড়ান্ত করতে কয়েক দিনের মধ্যে হামাসের প্রতিনিধিরা কায়রোয় যাবেন। নারী, বৃদ্ধ ও আহত জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলেভান হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে আরও দীর্ঘ একটি চুক্তির পথ সুগম হয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অতি সাম্প্রতিক প্রস্তাবে ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি এবং প্রতি জিম্মির বিপরিতে ১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দান এবং ক্রমান্বয়ে বাস্তুচ্যূত গাজার বাসিন্দাদের তাদের বাড়িঘরে ফেরার কথা বলা হয়েছে।