ঈদযাত্রার ট্রেনে শেষদিনের টিকিট বিক্রি চলছে আজ
ট্রেনে ঈদযাত্রায় শেষদিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ যারা অগ্রিম টিকিট নিচ্ছেন তারা আগামী ৯ এপ্রিল ভ্রমণ করতে পারবেন। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮ টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। পূর্বাঞ্চলে চলাচল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। এর মধ্যদিয়ে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হবে। আগামী ৩ এপ্রিল থেকে মিলবে ঈদযাত্রার ফিরতি টিকিট। যা চলবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। ঈদের অগ্রিম ও ফেরত যাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। যাত্রীরা ঈদের অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার করে টিকিট ক্রয় করতে পারছেন। একজন যাত্রী সর্বাধিক চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। এই টিকিট রিফান্ড করা যাবে না। এছাড়া আন্তঃনগর ট্রেনের সব আসন বিক্রি শেষে বরাদ্দকৃত সাধারণ শ্রেণির মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে। আগের ঈদগুলোতে পাঁচ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই সাত দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গত ২৪ মার্চ।
ট্রেনের ধাক্কায় তেজগাঁওয়ে ১জন কিশোর নিহত
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ট্রেনের ধাক্কায় মেরাজ (১৫) নামে এক প্রতিবন্ধী কিশোর নিহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাখালপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের চাচা মোহাম্মদ কাউসার জানান, মেরাজ মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। শনিবার সকালে বাসা থেকে বের হয়ে নাখালপাড়া বড় মসজিদের দিকে যায়। পরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হয়। দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে থানাকে অবগত করা হয়েছে।
ঈদের আগেই ভাঙ্গা থেকে যশোরে ট্রেন ছুটলো পরীক্ষামূলক
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা রেল জংশন থেকে যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে গেল উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পরীক্ষামূলক ট্রেন। ট্রেনটির চালক হিসেবে ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮.৪০ মিনিটে ভাঙ্গার বামনকান্দা রেল জংশন থেকে ১২০ কিলোমিটার গতি নিয়ে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রায় উপস্থিত হয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন রেল প্রকল্পে চায়না ইঞ্জিনিয়ার, সেনাবাহিনী ও রেল প্রকল্পে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এদিক নতুন রেললাইন চালু হওয়ার সংবাদে রেললাইনের আশপাশের মানুষের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। এ বিষয়ে ভাঙ্গার রেলস্টেশন মাস্টার জিল্লুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৮.৪০ মিনিটে উচ্চ গতি সম্পন্ন এই পরীক্ষামূলক ট্রেনটি যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিতে যশোর পৌঁছাইতে সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা। পরদিন আবারও ৩১ মার্চ সকালে রূপদিয়া রেল স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। আবার যশোর থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। এভাবে কয়েকবার পরীক্ষামূলক ট্র্যায়েল ট্রেন চলাচল করবে। এ বিষয় ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা রেলওয়ে সেফটি ইনচার্জ শেখ নাছিম জানান, ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর রাজবাড়ী হয়ে যশোর পৌঁছাতে সময় লাগতো যেখানে ৪/৫ ঘণ্টা। সেখানে আজ নতুন রেললাইন দিয়ে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা। আজ শনিবার সকাল যশোরের রূপদিয়ে উদ্দেশ্যে ৫টি মালবাহী বগি নিয়ে ট্রেন ছেড়ে গেল। এবার যশোর থেকে ভাঙ্গা ফিরে আসবে। আজ বেলা ১২দিকে ৫টি মালবাহী ও আরও ৫টি যাত্রীবাহী ট্রেন যশোর রূপদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। আগামীকাল রোববার সকাল থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন আরেকটি ট্র্যায়েল ট্রেন যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। আবার যশোর থেকে ভাঙ্গায় ফিরে আসবে। দুপুরে ভাঙ্গা থেকে পুনরায় আবার যশোর এবং যশোর থেকে ভাঙ্গায় আসবে। ঈদের পর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন রেলপথ উদ্বোধন করা হবে। নতুন রেলপথ চালু হলে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের ভাগ্য আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।
দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করিয়ে দিলেন স্বামী
এ যেন বলিউডের সিনেমার গল্প। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দিলেন এক স্বামী। ঘটনাটি গত শনিবারের, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম এলাকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বীরভূমের মল্লারপুরে ছোটবেলার প্রেমিক কৃষ্ণেন্দু মণ্ডলকে বিয়ে করেন নাড়ুগোপাল মণ্ডলের সাবেক স্ত্রী স্মৃতি। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে স্মৃতির বিয়ে দেন নাড়ুগোপাল। নাড়ুগোপাল মণ্ডলের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল স্মৃতির। তাঁদের তিন বছরের একটি সন্তান আছে। কয়েক দিন আগে পুরোনো শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে প্রেমিকের কাছে চলে যান স্মৃতি। থানায় নিখোঁজের মামলাও করেন স্বামী। চারদিন পর স্মৃতি জানান, তিনি আর স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান না। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পঞ্চম শ্রেণি থেকে সহপাঠী কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে স্মৃতির প্রেম। কিন্তু পরিবারের চাপে তাঁদের চারহাত এক হয়নি। স্মৃতির বিয়ের পরও দুজনের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ছিল। এর আগেও একবার বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন স্মৃতি। সেবার বুঝিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। এবার আর তিনি কিছুতেই ফিরতে রাজি নয়। অবশেষে প্রেমিকের কাছেই তাঁকে ফিরিয়ে দিলেন স্বামী নাড়ুগোপাল। নাড়ুগোপাল বলেন, ‘আমার জীবনে যত কষ্টই আসুক, প্রেম সত্য হোক। আমাদের ছেলে আমার কাছে থাকবে। আমরা দুজনে স্বেচ্ছায় বিচ্ছেদপত্র লিখে নিয়েছি।’ স্মৃতি বলেন, ‘আমি বাকি জীবন প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে চাই। আমিই স্বামীর কাছে বিচ্ছেদপত্র চেয়ে নিলাম।’ প্রেমিকা স্মৃতিকে মল্লেশ্বরের কালীতলায় সাবেক স্বামীর সামনেই সিঁদুর পড়িয়ে দেন প্রেমিক কৃষ্ণেন্দু। তিনি জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমারা দুজন দুজনকে ভালোবাসি। ওর সঙ্গে সারাজীবন কাটাতে চায়। আমি ওঁর স্বামীর কাছে কৃতজ্ঞ।’