২৩ পাকিস্তানি নাগরিককে সোমালি দস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌবাহিনী

প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে ইরানের পতাকাবাহী মাছ ধরার নৌকা ‘আল-কাম্বার ৭৮৬’কে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনারা। শুক্রবার আরব সাগরে এই অভিযানে নৌকাটির ২৩ জন পাকিস্তানি কর্মীকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে নৌসেনার পক্ষে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস নৌসেনার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আরব সাগরের সোকোত্রা লেট থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে এই নৌকাটি অপহরণ করে ন’জন সশস্ত্র জলদস্যু। অপহরণের খবর পেয়ে নৌসেনার টহলদারি জাহাজ ‘আইএনএস সুমেধা’ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিছুক্ষণ পরেই সেখানে পৌঁছয় যুদ্ধাজাহাজ ‘আইএনএস ত্রিশূল’। প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানের পর তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়।
ইসরায়েলি হামলায় আল শিফা হাসপাতালে চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত

গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী, যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত মানুষ, মেডিকেল কর্মীসহ চার শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ১৩ দিন ধরে অভিযান চালিয়ে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। এদিকে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনের ভিড়ে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় ১৭ জন নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। ইসরায়েল এর আগেও গাজায় সাহায্যপ্রার্থীদের ওপরে হামলা চালিয়েছে। সাহায্যপ্রার্থী ফিলিস্তিনিরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজার ওই মোড়ে জড়ো হচ্ছেন এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তারা একের পর এক ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছেন। গাজার উত্তর, দক্ষিণ এবং মধ্যাঞ্চলে কোনো স্থানই ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে রেহায় পায়নি। সেখানকার অধিকাংশ মসজিদ, বাড়ি-ঘর এবং ভবনই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৩২ হাজার ৭০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজার ১৯০ জন। ইসরায়েলকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের বোমা ও যুদ্ধবিমান হস্তান্তরের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুইটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। যদিও ইসরায়েলের রাফা অভিযান নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। নতুন প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে রয়েছে ১৮০০ এমকে ২০০০ এলবি বোমা ও ৫০০ এমকে-৪২ ৫০০ এলবি বোমা। ওয়াশিংটন পোস্টকে ওই সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর ইসরায়েলকে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে। গাজায় যখন অব্যাহত বোমা হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি ইসরায়েল তখন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই সামরিক সহায়তার খবর এলো।
ইরানে ২৫ শতাংশ বেড়েছে জাকাত আদায়

১৯ মার্চ শেষ হওয়া বিগত ইরানি ক্যালেন্ডার বছরে ইরান জুড়ে হিতৈষী লোকেরা ২৬ ট্রিলিয়ন রিয়াল (প্রায় ৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এর বেশি জাকাত দান করেছে। আগের বছরের তুলনায় যা ২৫ শতাংশ বেশি। জাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয়। এটি সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ গরীব ও দরিদ্রদের দেওয়াকে বোঝায়। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, মানসিকভাবে স্থিতিশীল, মুক্ত এবং আর্থিকভাবে সক্ষম মুসলিম নর-নারীকে নির্দিষ্ট শ্রেণির লোকদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়। ইমাম খোমেইনী রিলিফ ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক হাবিবুল্লাহ আসুদে বলেছেন, সংগৃহীত জাকাতের ৮০ শতাংশ অভাবগ্রস্তদের জন্য মৌলিক খাবার সরবরাহ করতে ব্যয় করা হয়। বাকিটা সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়। এদিকে, ওয়ার্ল্ড গিভিং ইনডেক্স ২০২১ এ ১১৪টি দেশের মধ্যে ইরানকে ৩২তম উদার দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
প্রয়োজনে আবার লড়াই করবো তবু মেনে নেব না ভারতের দাসত্ব: ইসলামি আন্দোলন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের খবরদারী স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে পার্শ্ববর্তী বন্ধুপ্রতীম দেশের হস্তক্ষেপ আমাদেরকে নতুনভাবে ভাবিয়ে তুলছে। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে ভারত আমাদের ওপর গুলি ছুঁড়ে মানুষ হত্যা করে কি বুঝাতে চায়? আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই। পাকবাহিনী থেকে দেশ স্বাধীন করেছি ভারতের দাসত্ব মেনে নেয়ার জন্য নয়। প্রয়োজনে আবার লড়াই করবো, তবু ভারতের দাসত্ব দেশের জনগণ মেনে নেবে না। এক বুক প্রত্যাশা লাখো শহীদের রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে কেউ হস্তক্ষেপ করতে চাইলে তাদের রাঙা চোখে জনগণ আঙুল দিতে বাধ্য হবে। শনিবার বিকাল ৪টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগ বদরের শিক্ষা আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা, ইফতার মাহফিল ও বদরী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন। সংগঠনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা তারেকুল হাসান, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজিলিশ ঢাকা মহানগর সভাপতি নূর মোহাম্মদ আজিজি, জমিতে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগরীর সেক্রটারি আতাউর রহমান খান, সভাপতি এ্যাড. নাজিম উদ্দীন, গণ অধিকারে পরিষদ ঢাকা মহানগর সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দীন, আলহাজ আলতাফ হোসেন, আলহাজ আবদুল আউয়াল মজুমদার, ডা. শহীদুল ইসলাম, মওলানা আবদুর রাজ্জাক, নুরুজ্জামান সরকার, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, মাওলনা নাজির আহমাদ, এম জসিম খাঁ প্রমুখ। পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার। আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে ইফতার বয়কট করেছে, এরা কেন ইফতার বাদ দিলো এটা আমাদের প্রশ্ন। ঢাবিসব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা কারা করেছে তা জাতির সামনে স্পষ্ট। ইসলাম, দেশ ও মানবতার পক্ষে বদরের শিক্ষা নিয়ে মাঠে নামলে বাতিল পালাতে বাধ্য হবে। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ডামি সরকার দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বের জন্য চরম হুমকি। এ সরকারের ওপর ভর করে ভারত আমাদের দেশে নগ্ন হস্তক্ষেপ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। আজ দেশের মানুষ ভালো নেই। দ্রব্যমূল্যের বাজারের আগুনে সাধারণ মানুষ পুড়ে চাই হচ্ছে। বদর দিবসের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশগঠনের অঙ্গীকার নিতে হবে।
বিএনপিকে ধ্বংস করতে খালেদা সরকার জিয়াকে টার্গেট করেছে: মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের যে পরিণতি হয়েছে, সেটা জেলের ভিতরে তার ওপরে যে মানসিক নির্যাতন হয়েছে তারই পরিণতি। আজ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মোস্তফার উত্তরার বাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলের ভিতরের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, সরকার আজকে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করতে চায়। যেনো সরকারের বিরুদ্ধে মুখ না খুলে। এটা কী ধরনের সরকার? বাংলাদেশ কী কারণে সৃষ্টি হয়েছিলো? কোথায় গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার, সুস্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার? কী কারণে বাংলাদেশ আজকে এখানে পতিত হয়েছে। সেই উত্তর আজকে সরকারকে দিতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের কথা সম্পূর্ণ ঠিক না হলেও অনেকটা ঠিক। সবকিছু হারিয়ে আমরা কিন্তু একটি জিনিস পেয়েছি, সেটা হলো আমরা দেশের ১৮ কোটি মানুষের ভালোবাসা। এটাই আমাদের কাম্য। আর আমাদের রাজনীতির উদ্দেশ্যেও তাই। তাদেরকে (জনগণ) ভয়-ভীতি দেখিয়ে, জুলুম-অত্যাচার এবং লগি-বৈঠার রাজনীতি বিএনপি করে না। আমরা মানুষকে সেবা করার জন্য রাজনীতি করি। ড. মঈন বলেন, কেনো আজকে দেশের মানুষকে বাকরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে? কেনো সরকারের সমালোচনা করলে জেলে যেতে হয়? সরকারের সমালোচনা বিরোধী দলের কর্তব্য ও দায়িত্ব। এই অধিকার তো আমাদের সংবিধান আমাদেরকে দিয়েছে। সুতরাং দেশের যে পরিণত হয়েছে, এরচেয়ে দুঃখজনক ও লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না।
সারা দেশটাই এখন জুলুমের নগরী: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা আওয়ামী জুলুমের আরেকটি বহিঃপ্রকাশ। আইনের শাসন ও সুশাসন দেশ থেকে চিরতরে বিদায় করে জনগণকে অত্যাচার আর উৎপীড়নের মধ্যে রাখা হয়েছে, যাতে কেউ প্রতিবাদী হয়ে রাস্তায় নেমে আসতে না পারে। রোববার (৩১ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। আদালত কতৃর্ক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের জামিন নামঞ্জুর এবং কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, এক সর্বগ্রাসী অরাজকতা দেশকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। দেশে এক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছা ও নব্য বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠিত করতেই শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র মানুষের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্কের বিস্তার ঘটানো হচ্ছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, ৭ই জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অতি মাত্রায় বেপরোয়া ও হিংস্র হয়ে উঠেছে। মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপকৌশলের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল, ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে অব্যাহতভাবে। কারাগারে বন্দি করা হচ্ছে নির্বিচারভাবে। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে স্বাধীন দেশটাকে আওয়ামী লীগের জমিদারী বানানো হয়েছে। তিনি বলেন, সারা দেশে প্রতিনিয়ত সরকারের মদতে বিরোধী নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণ করার ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
ব্রিটেন-আমেরিকার চেয়ে কেন বেশি খাবার নষ্ট হ য়বাংলাদেশে?

জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক কর্মসূচি বা ইউনেপের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিশ্বে ২০২২ সালে বাসাবাড়ি, খাদ্য সেবা ও খুচরা পর্যায়ে মোট খাদ্যের প্রায় উনিশ শতাংশ অর্থাৎ একশ কোটি টনের বেশি খাবার অপচয় হয়েছে। ওই সময় বাংলাদেশে গড়ে একজন ব্যক্তি বছরে ৮২ কেজি খাবার অপচয় করেছেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “বিশ্বের বেশিরভাগ খাদ্য অপচয় হয়েছে বাসাবাড়িতে। যত খাদ্য অপচয় হয়েছে ৬০ শতাংশই বাসাবাড়িতে হয়েছে। এছাড়া গড়ে একজন মানুষ বছরে ৭৯ কেজি খাবার অপচয় করেছে,” প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট ২০২৪ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই সময়ে বাংলাদেশের খাদ্য অপচয়ের এ প্রবণতা ছিলো ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি। জাতিসংঘের হিসেবে বাসাবাড়িতে এক ব্যক্তি বছরে গড়ে ভারতে ৫৫, যুক্তরাজ্য ৭৬, যুক্তরাষ্ট্র ৭৩ ও রাশিয়ায় ৩৩ কেজি খাবার অপচয় করেছে । তবে এ হিসেবে খাবারের সবচেয়ে বেশি অপচয় হয়েছে মালদ্বীপে ২০৭ কেজি আর সবচেয়ে কম হয়েছে ১৮ কেজি-মঙ্গোলিয়ায়। খাদ্য অপচয় বিষয়ে গবেষক অধ্যাপক মোঃ কামরুল হাসান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বাংলাদেশে একেবারে উচ্চ আয়ের পরিবারগুলোতে বেশি খাদ্য নষ্ট বা অপচয় হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাসান খাদ্য অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং ঢাকায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় গবেষণা করেছেন। প্রসঙ্গত, ইউনেপের আগের প্রতিবেদনের সাথে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় আগের চেয়ে ২০২২ সালে খাদ্য অপচয় বা খাদ্য উপাদান কিংবা তৈরি খাদ্য নষ্ট করার প্রবণতা বেড়েছে। ২০১৯ সালের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে সংস্থাটি ২০২১ সালে যে রিপোর্ট দিয়েছিলো তাতে বলা হয়েছিলো যে একজন বাংলাদেশি বছরে ৬৫ কেজি খাদ্য উপাদান কিংবা তৈরি খাদ্য নষ্ট করেন। গবেষকরা বলছেন সাধারণভাবে খাবার সম্পূর্ণ না খেয়ে অপচয়টাই হলো ফুড ওয়েস্ট। আর ফুড লস হলো উৎপাদন বা আহরণের পর গ্রাহক পর্যায় পর্যন্ত না পৌঁছানো। সেটিও খাদ্য অপচয়ের মধ্যেই পরে। আবার যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে কোন খাবার যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সেটি খাদ্য অপচয়ের আওতায় আসবে। এর মধ্যে ফুড লস হয় মাঠ পর্যায় থেকে গ্রাহকের হাতে আসা পর্যন্ত। আর ফুড ওয়েস্ট বা অপচয় হয় গ্রাহকের হাতে আসার পর। অধ্যাপক হাসানের সাথে গবেষণায় যুক্ত ছিলেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরেকজন গবেষক অধ্যাপক শাহেদ রেজা। তিনি মাছের উদাহরণ দিয়ে বলছেন, ছোট মাছের ক্ষেত্রে বেশি ফুড লস হয়ে থাকে। “আমরা দেখেছি আহরণের পর থেকে গ্রাহক পর্যায়ে আসা পর্যন্ত সময়ে ছোট মাছের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি ২৩ শতাংশ “লস” হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে তিন ভাগের এক ভাগ মাছ নানা কারণে নষ্ট হচ্ছে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। অধ্যাপক কামরুল হাসান বলছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে তারা যে গবেষণা করেছেন তাতে দেখা গেছে কমিউনিটি সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫-১৩ শতাংশ খাবার নষ্ট বা অপচয় হয়। “বাসাবাড়ি ও হোটেল রেস্টুরেন্টে অনেক খাবার নষ্ট হয়। আমরা গবেষণা পেয়েছি যে উচ্চ আয়ের বাসাগুলোতে সপ্তাহে একজন মানুষ দুই কেজির বেশি খাবার অপচয় করে থাকে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। অধ্যাপক হাসানের নেতৃত্বে করা এস্টিমেশন অফ ওভারঅল ফুড লসেস অ্যান্ড ওয়েস্ট এট অল লেভেলস অফ দা ফুড চেইন শীর্ষক গবেষণায় উচ্চ আয়ের পরিবারগুলোতে খাদ্য অপচয় বেশী হয় আর কম হয় একেবারে গরীব পরিবারগুলোতে। তাছাড়া নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এ ক্যাটাগরির রেস্তোরাগুলোতেও সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত খাদ্য অপচয় হয়ে থাকে। সে তুলনায় বি ক্যাটাগরির রেস্তোরায় কিছুটা কম নষ্ট হয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্ডার দেয়া এবং সব খাবার একটু চেখে দেখার প্রবণতাই রেস্তোরা গুলোতে খাবার অপচয়ের বড় কারণ বলে ওই গবেষণায় বলা হয়েছে। মূলত এসব কারণেই যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে খাদ্য অপচয় বেশি বলে ধারণা বাংলাদেশের গবেষকদের। তারা মনে করেন রেস্তোরাঁ বা কমিউনিটি সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেশি নজরদারি বা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকায় খাদ্য অপচয় প্রতিরোধে উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে ভালো করছে। বাংলাদেশে খাদ্য অপচয় বিষয়টি দেখার জন্য সুনির্দিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষ নেই। বাংলাদেশের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া বিবিসি বাংলাকে বলছেন যে খাদ্য অপচয় প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া তেমন কিছু তাদের করণীয় নেই। “আমরা ভোক্তা পর্যায়ে কেউ নষ্ট বা মানোত্তীর্ণ খাবার দিলে ব্যবস্থা নিতে পারি। কিন্তু কেউ খাদ্য নষ্ট করলে বা অপচয় করলে আমাদের কিছু করার আছে বলে এখনো জানা নেই,” বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছিলেন। যদিও ২০২৩ সালের জুন মাসে ঢাকায় দশম আন্তর্জাতিক নিরাপদ খাদ্য ফোরামের এক অনুষ্ঠানে ‘খাদ্য নিরাপদ এবং পুষ্টিকর রাখা, ক্ষতি রোধ করা’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করেছিলো বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন বা আইএফসি। ওই আলোচনায় তখন বলা হয়েছিলো দেশে বছরে প্রায় এক কোটি টনের বেশি খাবার অপচয় হয় এবং বছরে জন প্রতি ৬৫ কেজি খাবার কখনো খাওয়াই হয় না। খাদ্য অপচয়ের চেয়ে খাদ্য নষ্ট হওয়ার হার অনেক বেশি। যত খাদ্য নষ্ট হয় এর ৮৭ শতাংশই ঘটে উৎপাদন, মজুত, প্রক্রিয়া, বিতরণের সময় ও বাজারে। তখন জানানো হয়েছিলো যে যত খাবার অপচয় হয় তার ৬১ শতাংশই বাড়িতে, ২৬ শতাংশ রেস্তোরাঁ থেকে আর বাকী খাবার অপচয় হয় খাদ্যশস্য যেখানে বিক্রি হয় অর্থাৎ বাজার কিংবা বিভিন্ন ধরণের দোকানে। তবে গবেষকরা বলছেন যে বাসা ও রেস্তোরাঁয় খাবার অপচয়ের মূল কারণ হলো- দরকারের চেয়ে বেশি রান্না করা, অতিরিক্ত খাবার কিনে তা ব্যবহার না করা এবং খাবার সংরক্ষণ যথাযথভাবে না করা। “আমাদের গবেষণায় খাবার অপচয় বা নষ্টের ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে এসব কারণই উঠে এসেছিলো,” বলছিলেন অধ্যাপক শাহেদ রেজা।
ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ

নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে আগামী ঈদুল ফিতরের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি আগামী ৯ এপ্রিল ছুটি রাখার সুপারিশ করেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। কমিটির সুপারিশ আগামীকাল (সোমবার) মন্ত্রিসভা বৈঠকেও উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মোজাম্মেল হক। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। তবে সরকার রমজান ৩০ দিন ও ঈদুল ফিতর হচ্ছে ১১ এপ্রিল ধরে আগামী ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল ঈদের ছুটি নির্ধারণ করেছে। এর আগে ৭ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি রয়েছে। শবে কদরের ছুটির পর ৮ ও ৯ এপ্রিল অফিস খোলা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের বেতন যাতে সময়মতো পরিশোধ করা হয় সে জন্য প্রয়োজনে ব্যাংক বেশিক্ষণ খোলা রেখে, বন্ধের দিনও খোলা রাখার সুবিধা দিতে পারে, যাতে শ্রমিকদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ না হয়। শ্রমিকদের যে প্রাপ্য সেগুলো যাতে সময়মতো পরিশোধ হয় সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগামীকাল(সোমবার) মালিকদের সঙ্গে মিটিং করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।’ ‘ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৯ তারিখ খোলা। এজন্য আমরা (৯ এপ্রিল বন্ধ রেখে) আগের শনিবার অফিস করতে পারি কি না সেই বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সুপারিশ করেছি, যদি ১১ এপ্রিল ঈদ হয়, যাওয়ার জন্য একদিন মাত্র সময় পাবে। সেজন্য যানজট বাড়তে পারে, এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। সেজন্য ৯ এপ্রিল ছুটি বিবেচনা করা যায় কি না এ সুপারিশ আমরা দেবো।’ মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে ফিটনেস নেই এমন গাড়ি ঈদের সময় চলাচল করে। এসব গাড়ি রাস্তায় গিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে চলাচল ব্যাহত হয়। যাত্রীদের অনেক ভোগান্তি হয়। সেজন্য ফিটনেসবিহীন এসব গাড়ি যাতে চলাচল করতে না পারে সেজন্য আগে থেকেই সতর্ক করা হবে।’ মিল-কলকারখানার শ্রমিকদের ছুটির পর একযোগে এসব গাড়ি ভাড়া করার তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন মোজাম্মেল হক।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী আরও সহায়তা চেয়েছেন এডিবির

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে আরও জোরালো সমর্থন চেয়েছেন। এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেক্টর অ্যান্ড থিম) ফাতিমা ইয়াসমিন রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এই সমর্থন কামনা করেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অগ্রগতি। কারণ সরকার গ্রামীণ জনগণের উন্নয়নকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্টকে বলেন, তার সরকার দেশের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করেছে। কারণ এটি শিল্পায়ন প্রসারিত ও আরও কাজের সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করবে। শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, কৃষি, নদী খনন ও পুনরুদ্ধারের মতো খাতে এডিবির সহায়তা চেয়েছেন। তিনি এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টকে আরও জনকেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান, যাতে করে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপকৃত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬-২০০১ সালে বেসরকারী খাতে বিভিন্ন শাখা খোলার জন্য তাঁর সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন, যার ফলে কর্মসংস্থান সম্প্রসারিত হয়েছে। ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশ এডিবির অন্যতম শীর্ষ অগ্রাধিকারের দেশ এবং ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে এডিবি’র সহায়তা পাঁচ গুণ বেড়ে ৩.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আরও বলেন, এডিবি নদী পুনরুদ্ধার, নদী ভিত্তিক পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র ও সেচের মতো প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। কারণ এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, মানব ও সামাজিক উন্নয়ন, কারিগরি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
বিয়েতে স্বপ্নপূরণে দুই ভাইয়ের ‘হেলিকপ্টার গাড়ি’

হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখছেন দুই ভাই। কিন্তু অর্থের অভাবে সেটি আর পূরণ হচ্ছে না। এজন্য গাড়িকে হেলিকপ্টারে পরিণত করেছেন তারা। ভারতের উত্তরপ্রদেশের আম্বেদকরনগরে এ ঘটনা ঘটে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস। আম্বেদকর নগরের ভিটি তহসিল এলাকার খেজুরি বাজারের বাসিন্দা ঈশ্বরদিন ও পরমেশ্বরদিন গাড়িকে হেলিকপ্টারে রূপান্তর করেন। জানা গেছে, দ্রুতই বিয়ে করতে চলেছেন তারা। পুরোদমে চলছে বিয়ের প্রস্তুতি। বিয়ের পর দুই ভাই হেলিকপ্টারের মতো গাড়িতে করে কনেদের বাড়ি আনতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তারা তাদের পুরনো গাড়িটিকে হেলিকপ্টারে পরিবর্তন করেন। হেলিকপ্টার সদৃশ গাড়ি প্রস্তুত করার পরে, ঈশ্বরদিন আকবরপুরে এটির ছবি আকার জন্য নিয়ে এলে, হঠাৎ গাড়িটি নজরে আসে পুলিশের। এ ঘটনার পর পুলিশ তাদের গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ট্রাফিক সাব-ইন্সপেক্টর জয় বাহাদুর যাদব বলেন, এমন পরিবর্তন বেআইনি। এ জন্য প্রথমে পরিবহন দপ্তর থেকে অনুমতি নিতে হবে। এরপরই হেলিকপ্টার সদৃশ গাড়িটি আটক করেছে আকবরপুর কোতোয়ালি পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা গাড়িটি সিও সিটি অফিসের ক্যাম্পাসে রাখা হয়েছে। যেখানে দিনভর ছিল দর্শকদের ভিড়। এ ঘটনার ভিডিও হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ এর প্রশংসা করেছেন এবং এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি নিরাপদ জায়গা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কেউ কেউ আবার এমন গাড়ি বানানো বেআইনি বলে পুলিশের বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টিকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। একজন বলেছেন, ‘তাই বলি যে এই দেশটা ভালো নয়। দেশে নতুনত্বের কোনো জায়গা নেই।’ অন্যজনের দাবি, ‘আমি রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করছি যেন তারা তাদের উদ্ভাবনটি নিরাপদ জায়গায় ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।’ এদিকে পুলিশের এমন পদক্ষেপে দুই ভাই বেশ হতাশ। তারা বলেছেন যে যানবাহন পরিবর্তনের নিয়ম সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। নববিবাহিত কনেকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আনার স্বপ্ন তার স্বপ্ন হয়েই রয়ে গেল।