১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

জীবত থাকতেই কবর খুঁড়ে মৃত্যুর অপেক্ষায় হানিফ

মত্যুর পর মানুষের মরদেহ দাপনের জন্য কবর খুঁড়া হলেও জীবত থাকতেই কবর খুঁড়ে চারপাশ পাকা করে মৃত্যুর অপেক্ষায় রয়েছেন ৮০ বছর বয়সী মো: হানিফ। হানিফের এমন কান্ডে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে তৈরী হয়েছে কৌতুহলের। ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়খালী গ্রামের মোজাফ্ফর আহমদের বাড়িতে। মো. হানিফ ওই বাড়ির মরহুম মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে। নিজের জন্য কবর তৈরি করা হানিফ স্থানীয়ভাবে জমিদার ডাক্তার নামে পরিচিত। তিনি চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ের জনক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির মধ্যে বিশাল পাকা ঘর। ঘরের ডান পাশে মাটি খনন করে মাটির তলদেশ থেকে ইটের গাঁথুনি দিয়ে তলদেশ থেকে তৈরি হচ্ছে বিশালাকৃতির কবর। কবর নির্মাণকাজে পাশে বসে তদারকি করছেন আর কথার ফাঁকে ফাঁকে চোখের পানি মুচছেন বৃদ্ধ হানিফ। কবর খুঁড়া শেষে এখন অপেক্ষা মৃত্যুর। জানা গেছে, হানিফ চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ দরবার শরীফের মাওলানা খাইরুল বাশার ফারুকীর একজন খলিফা। মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে তিনি ৫৫ বছরেরও অধিক সময় ধরে জড়িত। প্রতিবছর আরবি রবিউস সানি চন্দ্র মাসের ১১ তারিখে পারিবারিকভাবে নিজ বাড়িতে ওরশের আয়োজন করে আসছেন তিনি। বিভিন্ন অঞ্চলে তার রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার মুরিদ। বৃদ্ধ মো: হানিফ বলেন, আমার ক্রয়কৃত নিজস্ব জায়গায় আমি আমার কবর তৈরি করছি। মৃত্যুর পরে ভক্তরা মাজার তৈরি করে তা জেয়ারত করবে। হানিফের ছেলে শাহাবুদ্দিন বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন মাইজভাণ্ডার তরিকায় হাজার হাজার আশেকান সৃষ্টি করেছেন। প্রতিবছর তিনি আশেকানদের নিয়ে ওরশ মাহফিল করে আসছেন। যেহেতু তিনি রোগশয্যায়, যেকোনো সময় মৃত্যুবরণ করতে পারেন। উনার ইচ্ছাতেই নিজের কবরটা করে যেতে চাইছেন বলেই আমরা বাবার সামনে কবরটা তৈরি করছি। তাঁর ছোট ছেলে মো: শাহারাজ উদ্দিন ঘরের পাশে বাবার জন্য কবর তৈরি প্রসঙ্গে বলেন, বাবার মৃত্যুর পর উনার ইচ্ছায় তাকে এখানে দাফন দেয়া হবে। তবে বাবার কবরকে মাজার বানিয়ে কোনো প্রকার ব্যবসা করার ইচ্ছা আমাদের কারো নেই। প্রতিবেশী জাফর উদ্দিন নামের একজন বলেন, মৃত্যুর আগে কারো জন্য কখনো কবর বানাতে দেখিনি কিংবা শুনিনি। কিন্তু জমিদার ডাক্তার জীবিত থাকতেই কবর তৈরিতে এলাকায় কেউ ভালো বললেও অনেকেই আবার খারাপ মন্তব্য করতে দেখা যায়। তবে অদৃশ্য কোনো এক ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। স্থানীয় হাজি এমরাত আলী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন, আগে থেকেই কবরের জন্য স্থান নির্ধারণ কিংবা মাটি ভরাট করা যেতে পারে। কিন্তু মৃত্যুর আগে বা পরে কবর বাঁধাই করা ইসলাম সমর্থন করে না। এছাড়াও যদি কোনো অসৎ বা মাজার করার উদ্দেশ্য থাকে তাহলে এলাকাবাসীর উচিত এটি প্রতিহত করা। বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম বলেন, মুত্যুর আগেই জীবিত মানুষের জন্য কবর খুড়া হয়েছে এমন খবর পেয়ে ওই ব্যক্তির ছেলেদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম, যে তারা এটা কেন করছে? তার ছেলেদের উত্তর, তার বাবার একান্ত ইচ্ছা যেন উনি উনার কবরটা দেখে যেতে পারে। আমি তাদেরকে বলেছি, ইসলামের বিধি বিধানের বাইরে এ সকল কাজ করা যাবে না। আসলে এগুলোর কোনো বিধান নেই। এ সকল গর্হিত কাজ এখনই বন্ধ করতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫০ গৃহহীনের মাঝে ঘরের চাবি-দলিল হস্তান্তর

৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরের চাবি ও দলিল মঙ্গলবার সকালে হস্তান্তর করা হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপকারভোগীদের হাতে চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. লোকমান হোসেন, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোনাব্বের হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাভেল প্রমুখ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশে একযোগে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ঘরের পাশের খালি জায়গায় সবজি ও গাছের চারা রোপণ করার পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি সরকারের দেওয়া জায়গা ও ঘর রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুই শতাংশ খাস জমিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট আধা পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। সব গুলো ঘর একই নকশায় নির্মিত। ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়া এলাকায় ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়।

এডিবি বাংলাদেশকে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে

বাংলাদেশকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দেশের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে সংস্থাটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৯৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১৭.৪২ টাকা ধরে)। সোমবার (১০ জুন) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে এডিবি ঋণ চুক্তি সই করে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, দ্বিতীয় শক্তিশালীকরণ সামাজিক স্থিতিস্থাপকতা কর্মসূচির লক্ষ্য হলো সুরক্ষার কভারেজ এবং দক্ষতা বৃদ্ধি, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি উন্নত করা এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ সুরক্ষা চাহিদার প্রতিক্রিয়া জোরদার করার ক্ষেত্রে সংস্কারমূলক কাজকে ত্বরান্বিত করা। এ কর্মসূচির প্রথম ধাপ ২০২২ সালের জুনে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রতিরক্ষামূলক এবং প্রতিরোধমূলক ক্ষমতা জোরদার করার জন্য সরকারের জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের দ্বিতীয় ধাপের কর্মপরিকল্পনাকে সমর্থন করে। প্রোগ্রামটি সামাজিক সুরক্ষা প্রোগ্রাম পরিচালনায় দক্ষতা উন্নত করতে, সবচেয়ে দুর্বলদের জন্য সুরক্ষা বাড়াতে এবং অবদানকারী সুরক্ষা প্রকল্পগুলো প্রবর্তনের মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষার সুযোগ উন্নত করতে সহায়তা করবে। এটি দুর্বলতা, বর্জন এবং আরও দারিদ্রের মধ্যে পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। সংস্থাটি জানায়, এই প্রোগ্রামটি দক্ষতা এবং কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য দুটি নগদভিত্তিক সুরক্ষা প্রোগ্রামকে একীভূত করবে। এই প্রোগ্রামটি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদেরও শনাক্ত করাসহ জলবায়ু দুর্বলতার বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার জন্য সামাজিক সুরক্ষায় জলবায়ু অভিযোজিত ব্যবস্থাগুলোকে একীভূত করতে সহায়তা করবে। এডিবির সহায়তা বিধবা ভাতা কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করবে এবং ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য জীবিকা সহায়তা কর্মসূচির কভারেজ সম্প্রসারণের মাধ্যমে অসহায় নারী ও ট্রান্সজেন্ডারদের সুরক্ষাকে শক্তিশালী করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোগ পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের জন্য তার তহবিল দ্বিগুণ করছে, যাতে আর্থিক পরিষেবাগুলোতে মহিলা ক্ষুদ্র ব্যবসা অপারেটরদের অংশগ্রহণ সম্প্রসারিত করা যায়। এডিবি জানায়, কর্মসূচির আরেকটি লক্ষ্য হলো তৈরি পোশাক খাতের শাসন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা। এ ছাড়া এটি একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠনে সমর্থন করে, যার মধ্যে রয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার ওপর কর্মী সমিতি, নিয়োগকর্তা সমিতি এবং দেশের সামাজিক বিমা প্রকল্পগুলোকে আরও বিকাশের ক্ষেত্রে একটি মূল প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা হিসেবে সহায়তা করা।

শেবাগের কড়া জবাবে রাজ্জাক বললেন, সাকিবকে ভিলেন বানানো ঠিক না

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াই করে হেরেছে বাংলাদেশ। হারের দিনে ব্যাট হাতে বাজে শটে আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের পর সমালোচনা শুরু হয়েছে। এমন পারফরম্যান্সের কারণে তাকে লজ্জিত হয়ে অবসর নিতে বলেছেন ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ। এদিকে শেবাগের কথার কড়া জবাব দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার (১১ জুন) বিশ্বকাপ উপলক্ষে দেশের এক গণমাধ্যমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজ্জাক জানান, একজন মানুষকে ভিলেন বানানো ঠিক না। যে মানুষটা পুরো ক্যারিয়াটা সার্ভ করে আসছে দেশকে। আমাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এরকম হয়। এটা ঠিক না। কেউ একজন মন্তব্য করলো সেটা নিয়ে লাফালাফি করা, একটু বুঝে করা উচিত, সম্মান রাখা উচিত। তিনি আরো বলেন, শেবাগ বলতেই পারে, ওর মনগড়া কথা। শেবাগ শেবাগের কথা বলছে। ওর কথা নিয়ে যে আমাদের লাফাতে হবে, ও বললেই যে ওর কথা সঠিক সেটা মনে করার কারণ নেই। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাকিব আউট হয়েছেন ৮ রানে। সোমবার আসে ৩ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বল হাতে দিয়েছেন ৩০ রান, আর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাত্র ১ ওভার বোলিং করেন। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে সাকিবের আউটের ধরণ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে বেশি।

সাকিবের সমালোচনায় শেবাগ

সাকিব আল হাসানের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। গত ছয় মাস ধরে তার পারফরম্যান্সের ব্যারোমিটারে পারদের উচ্চতা শুধু নিচের দিকে নামছে। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের শেষ দিকে ইনজুরির কারণে দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে চোখের সমস্যার কারণে তার জাতীয় দলে ফেরাতে বিলম্বিত করেছিল। গত মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আবার জাতীয় দলে ফেরেন সাকিব আল হাসান। দলে ফিরেছেন কিন্তু ফেরেনি তার ফর্ম। এ সময়ে আট টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পেয়েছেন ৬ উইকেট। এক ম্যাচ চার উইকেট। ছয় ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি। বল হাতে যেমন ব্যর্থ ব্যাট হাতেও সাফল্যের দেখা পাননি। আট ম্যাচে মোট ৯৭। বিশ্বকাপের দুই ম্যাচে সাকিবের রান ১১, উইকেট শিকারের সংখ্যা শূন্য। এমন পরিস্থিতিতে সাকিবের সমালোচনায় মুখ খুলেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বিরেন্দর শেভাগ। তিনি বলেন, সাকিব আল হাসান দলের একজন সিনিয়র সদস্য। রান তাড়া করায় তার বড় ভূমিকা নেওয়া উচিত ছিল। যদি শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার কারণে তাকে দলভুক্ত করা হয়ে থাকে তাহলে এটা ঠিক হয়নি। অন্তত কিছু সময় তার উইকেটে থাকা উচিত। সাকিব একজন ম্যাথু হেইডেন বা অ্যাডাম গিলক্রিস্ট নন। সে বাংলাদেশের খেলোয়াড়। শর্ট বলে পুল শট তার স্বাভাবিক শট নয়। শুধু শেবাগ নয়, ভারতের আরেক সাবেক ক্রিকেটার পার্থিব প্যাটেলও সাকিব আল হাসানের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, সাকিবকে ঘিরে অনেক প্রত্যাশা থাকে। এটাই স্বাভাবিক। কেননা সে প্রথম বিশ্বকাপ থেকে খেলছে। তার অভিজ্ঞতার কারণে দল যখন বিপদে পড়বে তরুণ খেলোয়াড়রা তখন তার দিকে তাকিয়ে থাকবে।

৪ রান না পাওয়ায় তামিম ইকবাল ক্ষুব্ধ, মরকেলও চান নিয়ম পরিবর্তন

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান আসরের ২১তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে  আম্পায়ারের দুইটি ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হয়েছে শান্ত-রিয়াদদের। ফলে ইনিংসের শেষ ওভারে ৪ রানে হারতে হলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। বাংলাদেশ ইনিংসের ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওটনিয়েল বার্টমানের বল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্যাডে লেগে বাউন্ডারি পার হয়ে যায়। এর আগেই সেই বলে এলবিডব্লিউর আবেদন হলে আম্পায়ার স্যাম নগাজস্কি তাতে সাড়া দেয়। তবে রিভিউ নিলে দেখা যায় বল বেরিয়ে যাচ্ছে লেগ স্ট্যাম্পেরও বাইরে দিয়ে। এতে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু চার রান আর বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে যুক্ত হয়নি। আম্পায়ার ভুল সিদ্ধান্ত না দিলে এই চারটি অতিরিক্ত রান পেতে পারতো বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে হয়তো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো টাইগাররা। এই নিয়ে সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনা। ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকইনফোর এক আলোচনাতেও গুরুত্ব পেয়েছে বিষয়টি। যেখানে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, বাংলাদেশের তামিম ইকবাল ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার মরনে মরকেল বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছেন। তারা প্রত্যেকেই মনে করেন, আইসিসির উচিত এই নিয়ম বদলানো। তামিম বলেন, আমার মনে হয়, আপনার কাছে যখন সময় আছে। আপনি কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে দেখতে পারেন, বল কোথায় গেল। সেটা কি বাউন্ডারি হলো, নাকি হলো না? এরপর আপনি আপনার সিদ্ধান্ত জানান। যদি ব্যাটসম্যান আউট না হয়, আর বল যদি তার থাইপ্যাডে বা অন্য কোথাও লেগে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়, তবে সে ক্ষেত্রে রান দেওয়া উচিত। যদি সে আউট না হয় আর কি। এটা আমি কঠিনভাবে বিশ্বাস করি। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার মরকেলও তাদের সঙ্গে একমত। তিন বলেন, আমি একমত। কোনো সন্দেহ নেই। এটা বদলানো জরুরি। আশা করি, বিশ্বকাপের পর তেমন কিছু হবে।

যুক্তরাষ্ট্র হামাসের সঙ্গে একতরফা জিম্মি চুক্তির কথা ভাবছে: রিপোর্ট

গাজায় হামাসের হাতে আটক মার্কিন জিম্মিদের মুক্ত করতে এমন চুক্তি করার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের হাতে ৫ মার্কিন জিম্মি আটক রয়েছে। এনবিসি এখবর জানায়। দুইজন বর্তমান ও দুই জন সাবেক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনবিসি জানায়, হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাইডেন প্রশাসন কাতারকে ব্যবহার করার কথা ভাবছে। ইসরায়েলকে এর বাইরে রাখা হবে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তিন ধাপের গাজার যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা ঘোষণা করার এক সপ্তাহের বেশি পর হামাসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পৃথক আলোচনার কথা জানা গেল। তবে বাইডেনের প্রস্তাব স্থবির হয়ে পড়েছে। হামাস বলেছে, এতে যুদ্ধবন্ধের কোন গ্যারান্টি দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে ইসরায়েল বলেছে, হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে চুক্তি পুরোপুরি মেনে নিতে তার ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য যুক্তরাষ্ট্র হামাসের সঙ্গে একতরফা চুক্তির কথা চিন্তা করছে।

গোষ্ঠীগত সংঘর্ষে সোমালিয়ায় নিহত ৫৫

আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় এক এলাকায় বিবাদমান দুটি গোষ্ঠীর সদস্যদের সহিংস সংঘাতে কমপক্ষে ৫৫ জন নিহত ও ১৫৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা ও চিকিৎসা কর্মকর্তারা ভয়াবহ সংঘাতে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন। সোমালিয়ার ফেডারেল সরকার দেশটির জঙ্গিগোষ্ঠী আল-শাবাবের সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে রীতিমতো লড়াই করছে। এর মাঝেই ভূমি ও পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোষ্ঠীগত সংঘর্ষেরও মুখোমুখি হচ্ছে আফ্রিকা শৃঙ্গের দেশ খ্যাত সোমালিয়া। দেশটির গালমুদুগ অঞ্চলের প্রবীণ বাসিন্দা ফারাহ নুর বলেন, গালমুদুগ অঞ্চল থেকে আল-শাবাবকে বিতাড়িত করা আধাসামরিক বাহিনীর পাশাপাশি লড়াই করে আসছিলেন দির ও মারিহান গোষ্ঠীর সদস্যরা। গত শনিবার আবুদওয়াক ও হেরাল শহরের চারণভূমি ও পানির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই দুই গোষ্ঠীর মাঝে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, সরকারি বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব করেছে।  হতাহতদের মধ্যে উভয় গোষ্ঠীর সদস্যরা রয়েছেন। সংঘর্ষ থামানো সহজ হলেও তা করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। গালমুদুগ অঞ্চলের প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা আহমেদ শায়ার ফালাগল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আল-শাবাব পরোক্ষভাবে এই অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘাতের পেছনে জড়িত আছে। সরকারি বাহিনী যৌথভাবে আল-শাবাবকে পরাজিত করার কাজে ভ্রাতৃপ্রতিম এই দুটি গোষ্ঠীকে ব্যবহার করেছিল।

নৌকাডুবে ৩৮ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু এডেনে, নিখোঁজ ১০০

ইয়েমেনের লোহিত সাগর উপকূলবর্তী বন্দর শহর এডেনে নৌকা ডুবির এ ঘটনা ঘটে। সোমবার পূর্ব এডেনের শাবওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে। এই অভিযাত্রীদের সবাই আফ্রিকার ‘হর্ন অব অফ্রিকা’ অঞ্চলের চার দেশ ইথিওপিয়া, ইরিত্রিয়া, জিবুতি ও সোমালিয়ার বাসিন্দা।’ শাবওয়ার প্রশাসনিক প্রধান হাদি আল খুরমা রয়টার্সকে এ বলেন, ‘মৎসজীবী এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় এই ৩৮ জনের লাশ এবং ৭৮ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘকেও এসব তথ্য জানানো হয়েছে। তুরস্ক ও লিবিয়ার পাশপাশি সম্প্রতি ইয়েমেনের এডেন বন্দর শহরও সাগরপথে ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ভিড় বাড়ছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, গত বছর আফ্রিকা ও এশিয়া থেকে এডেন বন্দরে এসেছেন অন্তত ৯৭ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী। তাদের সবারই লক্ষ্য লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়া।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২০২৩ সালে বিশ্ব সর্বাধিক ৫৯টি সশস্ত্র সংঘাত দেখেছে: গবেষণা

নরওয়েভিত্তিক শান্তি ও সংঘর্ষবিষয়ক গবেষণা সংস্থা দ্য পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব অসলোর (পিআরআইও) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পিআরআইও। কাতারভিত্তিক সংবাদমাদ্যম আল জাজিরা-ও এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনের বরাতে এএফপি উল্লেখ করেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যে ৫৯টি সংঘাত ঘটেছে তার মধ্যে শীর্ষে মধ্যে গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধ। এসব সংঘাতের ২৮টিই ঘটেছে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে, ১৭টি এশিয়ায় আর মধ্যপ্রাচ্যে ১০টি। এছাড়া ইউরোপে তিনটি ও যুক্তরাষ্ট্রে একটি সংঘাতের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। আর এসব সংঘাতের জেরে গত বছর বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ। পিআরআইও’র গবেষক এবং গবেষণা প্রবন্ধের মূল লেখক সিরি আস রুস্টাড বলেন, ‘শীতল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে, অর্থাৎ ১৯৮৯ সালের পর থেকে বিশ্বজুড়ে সংঘাত বাড়ছে এবং বর্তমানে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। দিন যতো গড়াচ্ছে, সংঘাত তত জটিল হচ্ছে এবং সংঘাত উসকে দেয়ার উপাদানের সংখ্যাও বাড়ছে।’ এই গবেষক আরও বলেন, গত কয়েক বছরে আল কায়দা সমর্থিত বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাড়ার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। সিরি আস রুস্টাড এএফপিকে বলেন, ‘এই তিন অঞ্চলের মধ্যে কিছু কিছু এলাকার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ, যে সেখানে সংঘাত হ্রাসের চেষ্টা শুরু করাও সম্ভব নয়।’ অন্যদিকে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে সংঘাত কবলিত দেশের সংখ্যা কমেছে। পিআরআইও’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে যেখানে ৩৯টি দেশে সংঘাত চলছিল, সেখানে ২০২৩ সালে সংঘাত চলেছে ৩৪টি দেশে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘাতের সংখ্যা বাড়ার জন্য আংশিকভাবে এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে আইএসআইএল (আইএসআইএস) এর বিস্তার এবং সাধারণভাবে ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পাওয়া নন-স্টেট নেতাদের দায়ী করা যেতে পারে। আর এসব সংঘাত এনজিওগুলির কাজকে আরও কঠিন করে তুলেছে।