শ্রীবরদী থানা পুলিশের এএসআই রফিকুল ইসলাম ও এসআই আব্দুল হান্নানকে মারধরের ঘটনায় জিয়াউল হক জেনারেল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। রবিবার রাতে শ্রীবরদী চৌরাস্তা মোড়ে কর্তব্যরত ওই দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর করা হয়।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলাকায় কয়েকজন যুবক প্রায়ই মাদক সেবন করে। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার বিকালে ওসি রহুল আমিন তালুকদারের নির্দেশনায় এএসআই রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল হান্নান হাসপাতাল চত্বর থেকে মাদকসেবী সন্দেহে কয়েকজন যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় ওই যুবকদের সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হাসপাতাল চত্বরে না যাওয়ার শর্তে মুচলেকা দিয়ে অভিভাবকরা ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
অপরদিকে রবিবার দুপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার ভায়াডাঙ্গা টেঙ্গর পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদায় অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় মেহেদী নামে একজন এসএসসি শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে মেহেদীর মা মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে কয়েকজনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
এই দুই ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশের এএসআই রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল হান্নান পৌর শহরের চৌরাস্তা মোড় এলাকায় কর্তব্য পালন করতে গেলে কয়েকজন যুবক ওই পুলিশ সদস্যদের মারধর করে। এ সময় এএসআই রফিকুল ইসলামের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহত অবস্থায় ওই দুই পুলিশ সদস্যকে উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় ওই স্থান থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউল হক জেনারেলকে আটক করা হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেরাজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘পৌর শহরের চৌরাস্তা মোড়ে পুলিশের সঙ্গে কয়েকজন স্থানীয় যুবকের বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়েছে। তারা কেউ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। আটককৃত জিয়াউল হক জেনারেল এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তস্বাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
শ্রীবরদী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহুল আমিন তালুকদার বলেন, ‘কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ব্যাপারে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই স্থান থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’