রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের ১১ নং পন্টুনে বাধা একটি লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক শিশু ও একজন নারী রয়েছেন। নিহতরা হলেন- বিল্লাল ও তার স্ত্রী মুক্তা, তাদের শিশু সন্তান সায়মা, হাওলাদার এবং নবীউল। ঈদের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ভোলাগামী এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামের দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পল্টুনে বাঁধা ছিলো। বিকেল ৩টার দিকে ভোলা থেকে আসা লঞ্চ এমভি ফারহান ওই দুই লঞ্চের মাঝখান দিয়ে পল্টুনে ভিড়াবার চেষ্টা চালায়। তবে সেটি সফল হয়নি। তবে ফারহানের ধাক্কায় তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে লঞ্চটিতে উঠতে চাওয়া পাঁচজন যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে বিল্লাল ও তার স্ত্রী মুক্তা এবং শিশু সন্তান সায়মাও ছিল। এছাড়া রিপন হাওলাদার ও নবীউল নামে আরও দুই জন গুরুতর আঘাত পান। তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আহত আরও চার জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আশিক সাঈদ বলেন, হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত করে মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা নদী বন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন বলেন, নিহতদের মরদেহ মিডফোর্ড হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
জানা গেছে, ঈদের দিন বাড়ি ফেরার জন্য বাবা-মার সঙ্গে ভোলার চরফ্যাশনগামী এমভি তাসরিফ লঞ্চে উঠতে চেয়েছিল তিন বছর বয়সী শিশু সায়মা। তবে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চের ধাক্কায় বাবা-মায়ের সঙ্গে মারা যায় সায়মাও।
র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর এমভি ফারহানের সারেং পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ফারহান লঞ্চের ম্যানেজার রাজিব দাবি করেছেন, দুর্ঘটনায় তাদের লঞ্চের কোনও দায় নেই। এমভি তাসরিফ কর্তৃপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ করছে।